
ছবি: সংগৃহীত।
বর্তমানে স্মার্টফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং এটি আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এমনকি পরিচয় যাচাইয়ের হাতিয়ারও বটে। তাই ফোন চুরি হলে শুধু ডিভাইস নয়, ঝুঁকিতে পড়ে পুরো জীবন। অথচ অনেকেই জানেন না—একটি সহজ সেটিংস সক্রিয় করলেই চুরি যাওয়া ফোনে চোরের হাত আটকে দেওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই গুরুত্বপূর্ণ সেটিংসটি এবং আরও কিছু সুরক্ষামূলক পরামর্শ।
ফোন চুরি হলেও যেন চোর ব্যবহার করতে না পারে—‘ফ্যাক্টরি রিসেট প্রোটেকশন’ (এফ.আর.পি.) জানুন!
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ‘ফ্যাক্টরি রিসেট প্রোটেকশন’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি ফিচার রয়েছে, যা ফোন চুরি হলে চোরের পক্ষে সেটি ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব করে তোলে। এই ফিচারটি সক্রিয় থাকলে কেউ ফোন রিসেট করলেও পূর্বের গুগল অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড ছাড়া ডিভাইসটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হয় না।
কীভাবে নিশ্চিত করবেন এফ.আর.পি. চালু আছে কি না?
১. আপনার ফোনে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট (জিমেইল) লগইন করা থাকতে হবে।
২. সেটিংস > অ্যাকাউন্টস > গুগল - এই অংশে আপনার জিমেইল যুক্ত আছে কি না দেখুন।
৩. ফোনে স্ক্রিন লক (পিন, প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড) ব্যবহার করুন।
এই দুটি শর্ত পূরণ থাকলেই এফ.আর.পি. সক্রিয় থাকবে।
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ‘অ্যাক্টিভেশন লক’
আইফোনে ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ চালু থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘অ্যাক্টিভেশন লক’ সক্রিয় হয়। এটি অ্যাকটিভ থাকলে ফোন রিসেট করার পর অ্যাপল আইডি ও পাসওয়ার্ড ছাড়া ফোন ব্যবহার করা যায় না।
অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য আরও কিছু টিপস:
- ফাইন্ড মাই ডিভাইস / ফাইন্ড মাই আইফোন চালু রাখুন
- ফোনে বায়োমেট্রিক বা শক্তিশালী পাসকোড ব্যবহার করুন
- গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপে অতিরিক্ত পাসওয়ার্ড/পিন লক দিন
- ফোন চুরি হলে দ্রুত গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইস বা আইক্লাউড থেকে ফোনটি ‘লক’ করে দিন
স্মার্টফোন নিরাপত্তা আজকের দিনে বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। একবার চুরি হলে শুধু ফোন নয়—ব্যক্তিগত ও আর্থিক নিরাপত্তাও ঝুঁকিতে পড়ে। তাই এখনই আপনার ফোনে এই গুরুত্বপূর্ণ সেটিংসটি সক্রিয় করুন। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করুন নিজের সুরক্ষায়।
চোরের জন্য নয়, থাকুক ফোন শুধুই আপনার হাতে!
নুসরাত