ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

বাড়ির একা মেয়ে: বাবা-মাকে সামলাবেন, না শ্বশুরবাড়ি?

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাড়ির একা মেয়ে: বাবা-মাকে সামলাবেন, না শ্বশুরবাড়ি?

প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত

বাংলাদেশে মেয়েদের জন্য দায়িত্বের ভার চিরকালই অনেক বেশি। বিশেষ করে যদি তিনি পরিবারের একমাত্র কন্যা হন, তাহলে এই দায়িত্ব যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। বাবা-মায়ের দেখভাল, সংসারের খরচ সামলানো, আবার বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির দায়িত্ব নেওয়া—সবকিছুই যেন একসঙ্গে তার কাঁধে এসে পড়ে।

কঠিন সিদ্ধান্ত: কোনটা আগে?
একদিকে জন্মদাতা বাবা-মা, যাদের বয়স বাড়ছে, শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির প্রত্যাশা—নতুন বউ সংসারের সবকিছু সামলাবেন। কিন্তু একজন নারী কি একসঙ্গে দুই পরিবারের দায়িত্ব সমানভাবে পালন করতে পারেন?

সমাজের চাপ ও পারিবারিক বাস্তবতা
বাংলাদেশের সমাজে মেয়েদের কাছে আশা করা হয়, তারা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই বেশি সময় দেবে। কিন্তু যদি মেয়ে একমাত্র সন্তান হন, তাহলে বাবা-মাকে দেখার দায়িত্ব কে নেবে? ছেলেরা যেখানে সহজেই নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, মেয়েরা সেখানে নিজের বাবা-মা আর শ্বশুরবাড়ির মধ্যে সমতা রাখার জন্য সংগ্রাম করেন।

এই দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তির উপায় কী?

পারস্পরিক সমঝোতা – বিয়ের আগেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা দরকার। বাবা-মায়ের দায়িত্ব ভাগাভাগির ব্যাপারে আলোচনা করলে পরে সমস্যা কম হবে।
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা – যদি মেয়ে নিজে উপার্জনক্ষম হন, তাহলে বাবা-মায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা সহজ হয়।
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন – শুধু মেয়েকেই নয়, ছেলেকেও তার বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করা উচিত।

একা মেয়ে মানেই শুধুমাত্র দায়িত্বের ভার বহন করা নয়, বরং সবার আগে প্রয়োজন সমতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সমাজের উচিত নারীদের প্রতি এই বাড়তি চাপ কমানো এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করা।

 

জাফরান

×