
ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রায় তিন মাস পর প্রথমবারের মতো গাজায় জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের একটি চালান পৌঁছে দিতে পেরেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত বুধবার গাজায় ৯টি ট্রাক পাঠানো হয়েছে, যাতে ছিল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, ২ হাজার ইউনিট রক্ত এবং ১ হাজার ৫০০ ইউনিট প্লাজমা। এসব চালান করেম শালোম সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে এবং যাত্রাপথে কোনো লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
এই রক্ত ও প্লাজমা সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সংরক্ষণাগারে। সেখান থেকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে এগুলো সরবরাহ করা হবে। ওই হাসপাতালগুলো বর্তমানে মারাত্মক সংকটে রয়েছে এবং খাদ্য সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে সংঘটিত সহিংসতার ফলে আহত রোগীর চাপ বাড়ছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান আরও জানান, চিকিৎসা সামগ্রীর বাকি অংশ আগামী দিনে গাজার অগ্রাধিকারভিত্তিক হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হবে। এখনো চারটি ট্রাক করেম শালোমে অবস্থান করছে এবং আরও ট্রাক গাজার পথে রয়েছে।
গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে মাসের পর মাস ধরে যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রেক্ষাপটে ডব্লিউএইচও-এর এই সরবরাহ একটি বিরল সাফল্য বলে বিবেচিত হচ্ছে।
তবে টেড্রোস গেব্রিয়েসুস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘এই সরবরাহ শুধু সমুদ্রে এক ফোঁটা পানি মাত্র। জীবন রক্ষার জন্য বৃহৎ পরিসরে সাহায্য পাঠানো এখন অতীব জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় স্বাস্থ্য সহায়তা পৌঁছাতে হবে অবিলম্বে, কোনো বাধা ছাড়াই এবং ধারাবাহিকভাবে—যত সম্ভাব্য রুটই থাকুক না কেন, সবকটিই উন্মুক্ত করতে হবে।’
সূত্র: আনাদোলু।
রাকিব