
ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিম তীরের আল-ইয়ামুন শহরে ইসরায়েলি সেনা অভিযানের সময় স্নাইপারের গুলিতে ১৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত রায়ান তামের আনোয়ার হুশাইয়েহ ছিল ওই এলাকার বাসিন্দা।
ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল – ফিলিস্তিন (DCI-P) জানায়, বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে রায়ান স্থানীয় ওমর ইবনে আল-খাত্তাব মসজিদের পাশের একটি গলিতে দেয়ালের আড়াল থেকে ইসরায়েলি সেনাদের তৎপরতা দেখতে উঁকি দেয়। ঠিক সেই মুহূর্তে ৫০ থেকে ৬০ মিটার দূর থেকে এক স্নাইপার তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, তিনটি গুলি রায়ানের ঘাড়, পেট এবং উরুতে লাগে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
DCI-P-এর শিশু অধিকার কর্মী আয়েদ আবু একতাশ বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা রায়ানের শহরে ঢুকে তাকে বিনা দ্বিধায় হত্যা করেছে। এ ঘটনার কোনো বিচার হবে না। এটাই আজকের ফিলিস্তিনি শৈশবের চিত্র।’
এই হত্যাকাণ্ড চলতি বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে পশ্চিম তীরে নিহত ৩০তম শিশুর ঘটনা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে DCI-P।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও দায়মুক্তির সংস্কৃতি
মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে—দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে শিশুদের হত্যা এখন ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল বারবার শিশুদের সুরক্ষা ও যুদ্ধাপরাধের জবাবদিহির আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
সূত্র: আল জাজিরা।
রাকিব