
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আয়োজিত এক টকশো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। তিনি আলোচনা করেছেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক চিত্র নিয়ে।
টকশো উপস্থাপিকার ‘আমরা কী পেলাম, গণঅভুত্থান নতুন কী রূপ আমাদের সামনে তুলে ধরলো’ এমন প্রশ্নে মির্জা গালিব বলেন, ‘যারা বিরোধী রাজনৈতিক দল ছিল, তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। আমি এটাকে একটু জেনারালাইজ করতে চাই, বাংলাদেশে কোন বাংলাদেশি নাগরিক এখন গুমের শিকার হচ্ছে না।’
‘কাউকে খুন করে কোনো জবাবদিহিতা নাই, এরকম সিস্টেম নাই। কাউকে ধরে নিয়ে ভারতে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে না, যেটা বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদের ক্ষেত্রে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে রাষ্ট্রের নাগরিকরা একটা রাজনৈতিক সিস্টেমের মধ্যে আছে, যেখানে সে সরকারকে ভয় পাচ্ছে না। সে নিপীড়নের শিকার হবে বলে মনে করছে না। আমরা মনে করি যে এটা অত্যন্ত বড় অগ্রগতি।’
‘আমাদের একটা অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে এবং সে অন্তর্বর্তী সরকার একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে আগাচ্ছে। আমি যদি সে লক্ষ্যকে দেখি তাহলে আমরা দুইটা জিনিস বলব। একটা হচ্ছে যে তারা চাচ্ছে রাষ্ট্রব্যবস্থার একটা সংস্কার করতে। কিছু সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব আসছে এবং সে প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে তারা আলাপ-আলোচনা করছে। এটা একটা ওয়ান্ডারফুল সিচুয়েশন।’
এছাড়া, ‘জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে’ উল্লেখ করে মির্জা গালিব আরও বলেন, ‘বিভিন্ন কনফ্লিক্টে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল সবাই একসাথে বসে আলাপ-আলোচনা করছে যে আমরা কীভাবে নির্বাচন করব, কীভাবে সংবিধান সংশোধন করব। অনেক সময় একটা প্রপোজাল দিচ্ছে, তার পাল্টা প্রপোজাল হচ্ছে। একটা রাজনৈতিক দল বলছে, আমি এটা মানছি না, আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করছি। সরকারের দিক থেকে আবার একটা কাউন্টার প্রপোজাল দিচ্ছে। তো এই যে আলাপ-আলোচনাটা হচ্ছে, আমি মনে করি এটা একটা অসাধারণ অগ্রগতি।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=bZ_gwaOAnV4
রাকিব