ছবি: সংগৃহীত
গাজায় দ্রুত ও স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইরানে হামলা না চালাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৯ জুন) নেতানিয়াহুর সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিটের এক উত্তপ্ত ফোনালাপে এসব বার্তা দেন ট্রাম্প। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল ও চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে বুধবার (১১ জুন)।
ফোনালাপে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, হামাসের হাতে আটক অর্ধেক জিম্মিকে মুক্তির বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির যে ‘উইটকফ চুক্তি’ প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটি যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, “এটি শেষ করুন।”
ট্রাম্প আরও বলেন, গাজায় যুদ্ধের অবসান হলে তা ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা এবং সৌদি আরবের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, “আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাচ্ছি। ইরান আগ্রাসী হতে পারে, কিন্তু তাতেও আলোচনা থেমে যাবে না।”
ইরানের ওপর হামলার সম্ভাবনা নিয়ে নেতানিয়াহুর প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, যতক্ষণ না পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হয়, ততক্ষণ ইরানে হামলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্ট কোনো আশ্বাস পাননি—যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের একক হামলায় সমর্থন দেবে কি না কিংবা ওয়াশিংটন এতে অংশগ্রহণ করবে কি না।
নেতানিয়াহু যুক্তি দেন, ইরানের ওপর একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য সামরিক হুমকি’ বজায় রাখা জরুরি। তিনি বলেন, “তারা শুধু সময় ক্ষেপণের চেষ্টা করছে এবং আলোচনা অর্থহীন।”
ট্রাম্প জবাবে বলেন, “এই মুহূর্তে হামলার পরিকল্পনা টেবিল থেকে সরিয়ে রাখা উচিত।”
এর আগে মার্কিন কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। আলোচনা ব্যর্থ হলেই তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার নির্দেশ দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনীও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আসিফ
