
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ মাত্র ২২ মিনিটেই ধ্বংস করা হয়েছে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি। গুজরাটের গান্ধীনগরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, এই অভিযানের সমস্ত কার্যক্রম ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছিল, যেন দেশে কেউ প্রমাণ চেয়ে প্রশ্ন না তোলে।
তিনি বলেন, “এটি বীরদের ভূমি। এতদিন আমরা যা ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ বলে এসেছি, ৬ মে-র পর যেসব দৃশ্য দেখা গেছে, তার পর আর এই ভুল করা চলবে না। কারণ, যখন মাত্র ২২ মিনিটের মধ্যে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি শনাক্ত করে ধ্বংস করা হয়, তখন সেটি একটি নির্ধারিত ও চূড়ান্ত পদক্ষেপ। আর এবার সবকিছু ক্যামেরার সামনে করা হয়েছে, যাতে দেশের কেউ প্রমাণ না চায়।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ৬ মে’র পর যেসব সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, তাদের পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে, কফিনে পাকিস্তানের পতাকা জড়ানো হয়েছে এবং তাদের সামরিক বাহিনী সালাম জানিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে সন্ত্রাসবাদ কোনো ছায়াযুদ্ধ নয়, বরং একটি পরিকল্পিত ও সংগঠিত যুদ্ধনীতির অংশ।
মোদি বলেন, “আমি বলছি, একে আর প্রক্সি যুদ্ধ বলা যায় না। পাকিস্তানে যে সন্ত্রাসীদের জানাজা হয়, সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকা মুড়িয়ে দেওয়া হয়, সেনাবাহিনী সালাম দেয়। এটি প্রমাণ করে যে, এটি প্রক্সি যুদ্ধ নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত যুদ্ধ কৌশল। তোমরা যুদ্ধ শুরু করেছো, আর তার উপযুক্ত জবাবও পাবে। আমরা কারো সঙ্গে শত্রুতা চাই না, আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা উন্নয়ন চাই, যাতে বিশ্ব কল্যাণে অবদান রাখতে পারি।”
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে গান্ধীনগরে এক বিশাল রোডশো করেন মোদি। রাজভবন থেকে শুরু হওয়া এই রোডশো শেষ হয় মহাত্মা মন্দিরে। পথে হাজার হাজার মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এটি ছিল গুজরাটে তাঁর দুই দিনের সফরের অংশ হিসেবে চতুর্থ রোডশো। ‘অপারেশন সিঁদুর’— অর্থাৎ ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের পর, এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম গৃহরাজ্য সফর। সোমবার মোদি রোডশো করেছেন ভাদোদরা, ভূজ এবং আহমেদাবাদেও।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মুমু