ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এভারেস্ট ম্যান শিরোপা অটুট, কামি রিতার ৩১তম শৃঙ্গ জয়

প্রকাশিত: ১২:২১, ২৭ মে ২০২৫; আপডেট: ১২:২৫, ২৭ মে ২০২৫

এভারেস্ট ম্যান শিরোপা অটুট, কামি রিতার ৩১তম শৃঙ্গ জয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নেপালি শেরপা কামি রিতা, যিনি "এভারেস্ট ম্যান" নামে পরিচিত, বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্টে ৩১তম বার আরোহণ করে নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন।

৫৫ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৪টায় (জিএমটি সোমবার রাত ১১:১৫) ভারতের সেনাবাহিনীর একটি দলের গাইড হিসেবে ৮,৮৯৪ মিটার উচ্চতায় পৌঁছান।

এভারেস্ট অভিযান সংগঠক সেভেন সামিট ট্রেকস এক বিবৃতিতে বলেছে, “কামি রিতা শেরপার পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। তিনি শুধু নেপালের পর্বতারোহণের নায়ক নন, বরং এভারেস্টের বৈশ্বিক প্রতীক।”

১৯৯৪ সালে প্রথমবার একটি বাণিজ্যিক অভিযানে অংশ নিয়ে কামি রিতা এভারেস্ট জয় করেন এবং প্রায় প্রতি বছরই তিনি শৃঙ্গ আরোহণ করে চলেছেন। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মতো কিছু বছর তিনি দু’বার করে শৃঙ্গে উঠেছেন।

এভারেস্ট জয়ের রেকর্ডে তাঁর সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক নেপালি শেরপা পাশাং দাওয়া, যিনি এখন পর্যন্ত ২৯ বার এভারেস্ট জয় করেছেন। সর্বশেষ তিনি গত সপ্তাহে চেষ্টা করেন।

গত বছর এএফপিকে কামি রিতা বলেছিলেন, তার জন্য এই অভিযান কেবল কাজের মতো। তিনি বলেন, “রেকর্ডে আমি আনন্দিত, তবে রেকর্ড তো একদিন না একদিন ভাঙবেই। আমি বেশি খুশি হই যখন আমার আরোহণে নেপালের নাম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।”

এ মাসের শুরুতে কামি রিতা এভারেস্ট অভিযানের কিছু মুহূর্ত সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন, যার মধ্যে ছিল পূজা অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও – এটি একটি তিব্বতি বৌদ্ধ আচার, যা নিরাপদ ও সফল অভিযানের জন্য অভিযান শুরুর আগে অনুষ্ঠিত হয়।

কামি রিতার এই সাফল্য আসে এক সপ্তাহ পর, যখন ব্রিটিশ পর্বতারোহী কেন্টন কুল ১৯তম বার এভারেস্ট জয় করে একজন অ-শেরপার মধ্যে সর্বাধিকবার শৃঙ্গজয়ের রেকর্ড ভাঙেন। চলতি আরোহণ মৌসুমে ইতোমধ্যে ৫০০-র বেশি মানুষ ও তাদের গাইড সফলভাবে এভারেস্ট আরোহণ করেছেন।

নেপালের পর্যটন বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে এভারেস্টসহ বিভিন্ন পর্বতের জন্য ১,০০০-এর বেশি আরোহণ অনুমতি ইস্যু করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে এভারেস্ট আরোহণের চেষ্টা ব্যাপক হারে বেড়েছে, তবে এটি জনসমাগম ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গত বছর কর্তৃপক্ষ একটি নিয়ম চালু করে, যেখানে আরোহণকারীদের নিজ নিজ মল সংগ্রহ করে বেস ক্যাম্পে ফেরত নিয়ে গিয়ে যথাযথভাবে নিষ্পত্তির বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

সূত্রঃ বিবিসি 

নোভা

×