ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ
গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরমে পথিক যখন ক্লান্ত প্রায় তখন লাল আভায় চাহনিতে প্রশান্তির ছায়া যেন বিমোহিত প্রাণজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সবুজের বুকে লালের আভায় ছেয়ে গেছে চারিদিক।
রবিবার (১জুন) রুহিয়া থানা বিভিন্ন ইউনিয়নে জায়গা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা-ঘাট, হাট বাজার, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর, এমনকি বাড়ির উঠানেও অনন্য রূপ ধারণ করে ফুটেছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। গাছে রক্তিম আভা নিয়ে জেগে থাকা কৃষ্ণচূড়া দৃষ্টি কাড়ছে ফুলপ্রেমীদের। প্রকৃতিপ্রেমীরাও ছুটে আসছে কৃষ্ণচূড়ার এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্যের ছবি তুলছেন অনেকেই।পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গ্রীষ্মকালীন গাছের মধ্যে অন্যতম হলো কৃষ্ণচূড়ার গাছ। কৃষ্ণচূড়া তার লাল রঙা ফুলের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে দুর্দান্ত গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া অন্যতম একটি ফুলগাছ।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রামনাথ হাট দেখা যায় কৃষ্ণচূড়ার গাছের ডালে ডালে লাল ফুল ঝুলছে, ঝিরিঝিরি পাতার মাঝে ফুল। আর সেই ফুল মন কেড়ে নিচ্ছে পথচারী আর প্রকৃতির প্রেমীদের। শস্য-শ্যামলা আর সবুজে ঘেরা বাংলার রূপ, এই রূপকে আরও নতুন করে রূপ দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়ার ছড়িয়ে দেওয়া সৌন্দর্য। এছাড়াও পার-রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রুহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, কর্ণফুলী এসব স্থানে কৃষ্ণচূড়া গাছের দেখা মিলে।
প্রকৃতিপ্রেমী ওয়াজিউর রহমান বলেন, রক্তিম আলো শুধু সূর্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যে আলো ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে। যখন কৃষ্ণচূড়া ফোটে তখন গাছের লাল-সবুজ রঙে যেন মুখর হয়ে উঠে। আর এ সময়টা আমার কাছে অন্যরকম ভালো লাগে। এ অনুভূতির কথা মুখে বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
হানিফ নামের এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন, গ্রামেই আমার বসবাস তাই অনেকবার দেখা মিলে কৃষ্ণচূড়া গাছের। যতবার কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখতে পাই তাকিয়ে থাকি কারন আলাদা সৌন্দর্য দেখতে পাই কৃষ্ণচূড়া ফুলের মধ্যে। ক্ষনিকের জন্য হলেও মনে প্রশান্তি পায়।
কথা হয় আরো প্রকৃতি প্রেমীদের সাথে তারা জানান, গরমের প্রচন্ড আভায় লুকায়িত সৌন্দর্য ফুটে তুলে কৃষ্ণচূড়ার ফুল। গাছ যেমন পথিককে ছাড়া দেয় আবার আমাদের সবাইকে অক্সিজেন ও দেয় তাই বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন। রাস্তার পাশে নানারকম ঔষধি গাছ থেকে শুরু করে সৌন্দর্য বর্ধনে চারা রোপণ করা জরুরী। রোদের সময় প্রকৃতি যেমন ঠান্ডা থাকবে ওপরদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পায়।
নোভা
