ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উৎপাদন কেন্দ্র নিয়ে স্যামসাং-মার্কিন দ্বন্দ্বের ভেতরের গল্প

প্রকাশিত: ০৯:২২, ১ জুন ২০২৫

উৎপাদন কেন্দ্র নিয়ে স্যামসাং-মার্কিন দ্বন্দ্বের ভেতরের গল্প

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রযুক্তি উৎপাদন দেশেই ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা বাড়াচ্ছে, আর স্যামসাং এই সুরক্ষাবাদী নীতির প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যদি মার্কিন বাজারে স্মার্টফোন বিক্রি হয়, তবে তা মার্কিনিতেই তৈরি হতে হবে। তবে হুমকির পরেও এই কৌশল প্রত্যাশিত ফলাফল দিচ্ছে না।

স্যামসাং এখনো ভিয়েতনামে কেন্দ্রীভূত
স্যামসাং দীর্ঘদিন ধরে চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে ভিয়েতনামে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং সেটিকে বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। বর্তমানে সেখানে স্যামসাংয়ের ১ লাখেরও বেশি কর্মী রয়েছে, এবং তার অধিকাংশ স্মার্টফোনই ভিয়েতনামে তৈরি হয়। ২০২৪ সালে একাই ভিয়েতনামের অপারেশনে তারা ২২ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের কৌশলগত প্রতিশ্রুতি মজবুত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি বড় খরচের বিষয়
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৫% শুল্ক স্যামসাংয়ের মুনাফা মার্জিনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করা অর্থনৈতিকভাবে অসম্ভব। শ্রম খরচ বেশি, দক্ষ শ্রমিক কম এবং ভিয়েতনামের দক্ষতা অর্জনের জন্য বিপুল বিনিয়োগের প্রয়োজন, যা দেশীয় উৎপাদনকে কঠিন করে তোলে। স্যামসাং হয় ক্ষতি স্বীকার করবে, অথবা দাম বাড়াবে, যা মার্কিন গ্রাহকদের জন্য ভালো নয়।

কৌশলগত বিচিত্রতা অব্যাহত
স্যামসাং মার্কিনিতে স্থানান্তরের বদলে ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলে সম্প্রসারণ করছে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যাতে একক বাজারের ওপর নির্ভরতা কম থাকে। রাজনৈতিক বক্তব্য যতই তীব্র হোক, তা এখনও স্যামসাংয়ের উৎপাদন নীতিতে কোনো বড় পরিবর্তন আনেনি।

অবশেষে, এই হুমকি বিদেশে উৎপাদনের গভীর আর্থিক সুবিধাগুলোকে টেক্কা দিতে পারেনি। দেশীয় স্মার্টফোন উৎপাদনের মার্কিন দাবি রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয় হলেও, বাস্তব শিল্প পরিস্থিতি এতে বাধা সৃষ্টি করছে।

আবির

×