
ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরব ২০৩০ ভিশন ও আন্তর্জাতিক পর্যটন আকর্ষণের অংশ হিসেবে ২০২৬ সাল থেকে নির্ধারিত ৬০০টি পর্যটন এলাকায় সীমিত পরিসরে মদ্যপান অনুমোদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে পাঁচ তারকা হোটেল, বিলাসবহুল রিসোর্ট এবং বিদেশী বাসিন্দাদের আবাসিক কমপাউন্ডে শুধুমাত্র ওয়াইন, বিয়ার ও সাইডার পান করা যাবে। স্পিরিট বা উচ্চমাত্রার অ্যালকোহল নিষিদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি পাবলিক স্থানে মদ্যপান ও বিক্রি এবং বাড়িতে মদ সংরক্ষণও নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে ইসলামী শরীয়তে মাদকদ্রব্য গ্রহণ, ব্যবসা ও সহায়তা সম্পূর্ণরূপে হারাম। মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে মদ, জুয়া ও অপকর্ম থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। নবী করীম (সা.) মদ্যপানকারীকে কঠোর শাস্তির কথা বর্ণনা করেছেন এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন হাদিসে সতর্কতা দিয়েছেন।
বিশ্ব ইসলামিক স্কলাররা সৌদি সরকারের এই পদক্ষেপকে ইসলামের মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি ভবিষ্যতে আরব সমাজে পাপাচার ও অশ্লীলতা বৃদ্ধি করবে এবং নবী করীমের ভবিষ্যৎবাণীর দিকেই ইঙ্গিত করবে।
সৌদি সরকারের পরিকল্পনায় মদ্যপানকে নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত করার চেষ্টা থাকলেও ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে এটি এক গভীর উদ্বেগের বিষয়। মুসলিম সমাজের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসএফ