
ইতালির ৮-৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য রেফারেন্ডাম (জনভোট) প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা এলি শ্লেইন এবং শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মাউরিজিও লানদিনির জন্য একটি রাজনৈতিক পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। যদিও ভোটার উপস্থিতি কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবুও ফলাফল নেতৃত্ব ও বিরোধী দলগুলোর ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কী প্রশ্নে ভোট?
১. শ্রম সংস্কার: চাকরির নিরাপত্তা, শ্রমিক অধিকার ও ন্যূনতম মজুরি সংশোধন।
২. নাগরিকত্ব: অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব প্রাপ্তির শর্ত সহজীকরণ।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
-
মেলোনির জন্য: এই ভোটকে তার সরকারের বিরুদ্ধে একটি "মিড-টার্ম টেস্ট" হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি কম হলে তা তার পক্ষে সুবিধাজনক।
-
শ্লেইনের জন্য: ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভ্যন্তরীণ বিভক্তির মুখে। রেফারেন্ডামে হেরেও তিনি যদি ৩০-৪০% ভোটার mobilise করতে পারেন, তা বিরোধী জোটের জন্য moral victory হবে।
-
লানদিনির জন্য: তিনি শ্রমিক অধিকারের জন্য লড়াই করছেন, কিন্তু রেফারেন্ডামের ফলাফল CGIL ইউনিয়নের ঐক্যকে দুর্বল করতে পারে।
সম্ভাব্য ফলাফল:
-
ভোটার উপস্থিতি কম (৪০%-এর নিচে): মেলোনির জয় হিসেবে গণ্য হবে।
-
উচ্চ ভোটার টার্নআউট (৫০%+): বিরোধী দলগুলোর জন্য বড় অর্জন, যা ২০২৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইতিহাসের পাঠ:
-
১৯৯১ সালে ক্রাক্সি এবং ২০১৬ সালে রেনজি ভোটারদের উপস্থিতি কমাতে আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিন্তু শেষমেশ রাজনৈতিক মূল্য দিতে হয়েছিল।
-
এবারও মেলোনি যদি ভোটারদের নিরুৎসাহিত করতে চান, তা বিপজ্জনক হতে পারে।
এই রেফারেন্ডাম ইতালির রাজনীতিতে নতুন মোড় নিতে পারে। ভোটারদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে—কোন পথে যাবে দেশ!
সানজানা