
ছবিঃ সংগৃহীত
আসন্ন ঈদুল আযহা অনেকের জন্য শুধুই উৎসব নয়, বরং একটি সম্ভাবনার সময়ও বটে—বিশেষ করে যারা গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত সমস্যা বা পারিবারিক সম্পত্তি বিরোধে জর্জরিত।
সাধারণত, আমরা যারা শহরে বা গ্রামের বাইরে অবস্থান করি, ঈদে বাড়ি গিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাই। কিন্তু এই সময়টি সম্পত্তি সংক্রান্ত জটিলতা মীমাংসার জন্যও একটি কার্যকর সুযোগ হতে পারে। এবারের ঈদে প্রায় ১০ দিনের ছুটি পাওয়া যাচ্ছে, যা ভূমি পুনরুদ্ধার কিংবা জমিজমার বণ্টন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিতে সহায়ক হতে পারে।
কেন এখনই সময়?
গত কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে, ঈদের পরপরই অনেক এলাকায় জমি নিয়ে দাঙ্গা, মারামারি ও এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। এসব অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক পরিস্থিতি এড়াতে ঘরোয়া আলোচনার মাধ্যমে আপস-মীমাংসা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমন পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রেখে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে বসে সালিশি বৈঠক করা যেতে পারে। যদি দেখা যায় জমি বেদখল হয়েছে, বা ন্যায্য অংশ বুঝিয়ে দিচ্ছে না, তবে আইনি পথে যাওয়ার আগে একটি সম্মানজনক আপস-মীমাংসা চেষ্টাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
আইনি পথ থাকছেই, কিন্তু আগে চেষ্টা হোক বোঝাপড়ার
সাবধানতা অবলম্বন না করে কেউ যদি মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে সেটা ফৌজদারি মামলায় রূপ নিতে পারে, যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে—জেল, আদালত, খরচ, মানসিক চাপ, এমনকি জীবনহানিও হতে পারে। এ ধরনের ঘটনা পরিবার ও সমাজ উভয়ের জন্যই বিপর্যয়কর।
একজন নাগরিক হিসেবে আপনার অধিকার রয়েছে দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে আপনার ন্যায্য দাবি আদায়ের, তবে তার আগে পারিবারিক বোঝাপড়ায় সমস্যা মেটানো সর্বোত্তম উপায়।
করণীয় কী?
-
ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসুন
-
প্রয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বা পাড়া-প্রতিবেশীদের সালিশে যুক্ত করুন
-
কোনভাবেই মারামারি বা হুমকিতে না জড়ান
-
আপসে সমাধান না হলে আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলুন
শেষ কথা
সম্পত্তি আপনার অধিকার, সেটি আদায় করতেই হবে—তবে রক্ত ঝরিয়ে নয়, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। ঈদ যেমন আত্মার পরিশুদ্ধি ও সংহতির সময়, তেমনই এটি হতে পারে দীর্ঘদিনের জমি-জমা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের একটি সুবর্ণ সুযোগ।
ইমরান