ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চীনে আম রপ্তানি শুরু করল বাংলাদেশ

কূটনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:২৩, ২৯ মে ২০২৫

চীনে আম রপ্তানি শুরু করল বাংলাদেশ

চীনে বাংলাদেশের আমের প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে

চীনে বাংলাদেশের আমের প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের আমের সঙ্গে চীনের মানুষের পরিচিতি ঘটাতে প্রাথমিকভাবে ১০ টন আম আমদানি করছে দেশটি। চলতি বছরে মোট ১০০ টন আম দেশটিতে রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। প্রথম চালানের রপ্তানির অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশের আম রপ্তানিতে উভয় দেশেরই লাভ হবে। এর মধ্যে দিয়ে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য আসবে। আর বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছরে আম রপ্তানি বাড়বে।
বুধবার চীনে আম রপ্তানি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। চীনের বাজারে আম রপ্তানি উপলক্ষে বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি বছরে আম রপ্তানির পরিমাণ ১০ গুণ বাড়বে। তিনি বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন চীনের বাজারে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। এই সুবিধার আওতায় এবারই প্রথম দেশটিতে বিনা শুল্কে বাংলাদেশের আম রপ্তানি করা হচ্ছে। আম রপ্তানি বহুগুণ বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এতে দেশের আমচাষিরা ন্যায্য দাম পাবেন।
তিনি আরও জানান, বাণিজ্য ঘাটতিসহ নানা বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ও প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসবেন। সব ধরনের চামড়া রপ্তানিতে চীনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশি আমের প্রবেশ কেবল দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা উন্নত করতে সাহায্য করবে না, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার পারস্পরিক উপকারী এবং উভয়ের জন্যই লাভজনক।  তিনি বলেন, গঙ্গা বদ্বীপের উর্বর মাটিতে জন্মানো বাংলাদেশি আম সবুজ এবং উচ্চ মানের কৃষি পণ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। চীনা ভোক্তাদের জন্য এটা আরও বৈচিত্র্যময় পছন্দ এবং এটি অবশ্যই জনগণের মঙ্গল বৃদ্ধি করবে।
বাংলাদেশের জন্য চীনের বাজারের বিশাল সম্ভাবনা সরাসরি আম খাতের শিল্প উন্নয়নকে চালিত করবে, আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
কয়েক মাস আগে চীনে আম রপ্তানি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিছুদিন আগে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়। এ মৌসুমে সব মিলিয়ে ১০০ টন আম রপ্তানি হবে। প্রথম চালানে সাতক্ষীরা, যশোর অঞ্চলের আম রপ্তানি করা হয়। কয়েকজন রপ্তানিকারক মিলে ১০ টন আম রপ্তানি করছেন বলে জানা গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রথম দফায় আজ ঢাকা থেকে ১০ টন আম চীনে রপ্তানি হবে। ধীরে ধীরে বাকি আমও রপ্তানি করা হবে।
এদিকে সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে এ বছরের আম রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল চীনের রাষ্ট্রদূত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের বাগান পরিদর্শন করেছিলেন। এর পরই আম রপ্তানির প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।

আরো পড়ুন  

×