ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জাতিসংঘে পাকিস্তান উন্মোচন করলো ভারতের আসল চেহারা

প্রকাশিত: ১২:৪২, ২৬ মে ২০২৫

জাতিসংঘে পাকিস্তান উন্মোচন করলো ভারতের আসল চেহারা

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের এক ফোরামে ভারতকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের অভিযোগ, ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত করে ভারত পানি-সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ‘আরিয়া ফর্মুলা’ বৈঠকে পাকিস্তানের জাতিসংঘে ডেপুটি স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত উসমান জাদুন বলেন, পাকিস্তানে প্রবাহিত পানি বন্ধ বা সরিয়ে দেওয়ার ভারতের “দুরভিসন্ধিমূলক” পরিকল্পনার ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।

“সশস্ত্র সংঘাতে পানির সুরক্ষা” শীর্ষক এ বৈঠকের আয়োজন করে স্লোভেনিয়া, আলজেরিয়া, পানামা, সিয়েরা লিওন ও ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স টু স্পেয়ার ওয়াটার ফ্রম আর্মড কনফ্লিক্টস’। সেখানে রাষ্ট্রদূত জাদুন বলেন, পাকিস্তানের পানির প্রবাহ বন্ধ করার যেকোনো চেষ্টা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এমন পদক্ষেপ কোটি কোটি মানুষের জীবন হুমকির মুখে ফেলে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করে।

ভারতশাসিত কাশ্মীরে এক প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত আইডব্লিউটি চুক্তি “স্থগিত” করার সিদ্ধান্ত নেয়, যার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সিন্ধু চুক্তি একটি আইনি বাধ্যবাধকতাসম্পন্ন চুক্তি, যা একতরফাভাবে স্থগিত করা যায় না। রাষ্ট্রদূত জাদুন বলেন, পানির প্রবাহ বন্ধ করা মানে সরাসরি বেসামরিক জনগণ ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানো।

এছাড়া, পাকিস্তানকে “অনাহারে রাখার” হুমকি দিয়ে ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া বক্তব্যকে “বিপজ্জনক ও দায়িত্বহীন” আখ্যা দিয়ে এরও কড়া প্রতিবাদ জানান জাদুন। তিনি বলেন, ২৪ কোটির বেশি পাকিস্তানির জীবননির্ভর নদীগুলোর প্রবাহ আটকে দেওয়ার সব ধরনের অপচেষ্টা ভারতকে বন্ধ করতে হবে এবং চুক্তির সব শর্ত মেনে চলতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে একটি সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয় প্রতিরোধ করা যায়।

শেষে রাষ্ট্রদূত জাদুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন এমন লঙ্ঘনের ওপর নজর রাখা হয় এবং পানিকে কেন্দ্র করে সংঘাত প্রতিরোধে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পাশাপাশি তিনি শান্তিকাল এবং যুদ্ধকাল—উভয় সময়েই পানির উৎস ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পূর্ণ মর্যাদা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

 

সূত্র: ডেইলি টাইমস

আবির

×