
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি মঙ্গলবার (২০ মে) সংসদীয় পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তটি পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনের (DGMO) সঙ্গে ভারতের DGMO-এর সরাসরি আলোচনার ফলস্বরূপ।
মিশ্রি আরও বলেন, “পাকিস্তান থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আসে এবং কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া এটি বাস্তবায়িত হয়।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “নয়া দিল্লি নিয়মিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে, তবে কোনো মধ্যস্থতা হয়নি।”
এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “তিনি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।” তবে, মিশ্রি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতি একটি দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত ছিল।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মিশ্রি আরও বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আগামী ভবিষ্যতে নেই।” তিনি পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা এবং পারমাণবিক সংকেতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
ভারতের সংসদীয় কমিটি মিশ্রির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের আক্রমণ অযৌক্তিক এবং আমরা পররাষ্ট্র সচিবের পাশে দাঁড়াচ্ছি।” এটি সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের প্রতি সমর্থন এবং আস্থার প্রতিফলন।
মিশ্রির বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি একটি দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত ছিল এবং এতে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছিল না।
এসইউ