
ছবি: সংগৃহীত
পেহেলগাম ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার। এরই অংশ হিসেবে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ইউটিউব চ্যানেল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ভারত।
সূত্র জানায়, কাকুল সামরিক অ্যাকাডেমিতে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের একটি বক্তব্য ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের পর ভারত সরকার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইউটিউব ওই ভিডিওটি সরিয়ে দেয় এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে আপিল করার সুযোগ দিয়েছে।
ভারতের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার এইসব নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যেন ‘পেহেলগাম হামলা’ সম্পর্কিত বিকল্প বক্তব্য দমন করার চেষ্টা করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এর আগেও, পাকিস্তানের প্রখ্যাত ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে ভারত। একইসঙ্গে সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী ও রশিদ লতিফের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন ফলোয়ারের মালিক শোয়েব আখতার তার চ্যানেলে খোলামেলাভাবে ক্রিকেট ও সামাজিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তার চ্যানেলটিও পেহেলগাম ইস্যুতে মতপ্রকাশের কারণে ভারতীয় সেন্সরের শিকার হয়।
শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের অন্তত ১৬টি সংবাদভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। এসব চ্যানেলের সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় ৬৩ মিলিয়ন। ব্লক করা চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে—এআরওয়াই নিউজ, ডন নিউজ, সামা টিভি, বোল নিউজ, রফতার, জিও নিউজ এবং শুনো নিউজ।
ভারতীয় পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু’র মতে, এসব নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভারত সরকার পাকিস্তানভিত্তিক কণ্ঠগুলোকে স্তব্ধ করতে চাইছে যারা পাহেলগাম ঘটনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছিল।
সূত্র: https://arynews.tv/shehbaz-sharif-pms-youtube-channel-banned-in-india/
আবীর