
ছবি: সংগৃহীত।
কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার পর চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা দ্রুত তীব্রতর হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা হতে পারে। এমন সতর্কতার পর রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে চলছে জোর আলোচনা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পূর্ণ যুদ্ধ নয়, বরং সীমিত পরিসরের সামরিক সংঘর্ষ সংঘটিত হতে পারে। তবে এর পরিণতি সীমান্ত অঞ্চলজুড়ে বেসামরিকদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারত ও পাকিস্তান — উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। তাই সরাসরি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের সম্ভাবনা অনেকটা কম বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরা। তবে সীমান্তে সীমিত সময়ের জন্য গোলাগুলি, বিমান হামলা বা ড্রোন হামলার মতো ঘটনার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই।
ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও যুদ্ধাস্ত্র সরানোর খবর মিলেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই উত্তেজনার মধ্যেই যদি ভারত পাকিস্তানের উপর সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন সরাসরি সামরিক সহায়তা দিতে পারে। ভারত যদি সীমান্ত পরিস্থিতি অতিক্রম করে পাকিস্তানের ভিতরে আঘাত হানে, তাহলে চীনের পক্ষে নিষ্ক্রিয় থাকা সম্ভব নাও হতে পারে।
চীন ও পাকিস্তান বহু বছর ধরেই কৌশলগত সামরিক অংশীদার। বিশেষ করে চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (CPEC) এবং সামরিক চুক্তির কারণে দুই দেশের মধ্যে গভীর নিরাপত্তা সংযোগ গড়ে উঠেছে।
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ একাধিক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সংঘাত এড়িয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজতে বলেছে আন্তর্জাতিক মহল।
বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধের এই সম্ভাবনা দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
নুসরাত