
ছবি: জনকণ্ঠ
পাবনার চলনবিল অঞ্চলে পেঁয়াজ ও রসুনের ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজ ও রসুনের সন্তোষজনক দাম পেয়ে আনন্দিত কৃষকরা। তাদের ভাষ্য, উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় লাভজনক এই আবাদ এখন কৃষি অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে।
গত কয়েক বছর ধরে ধানসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ কমিয়ে বিনা হাল চাষে পেঁয়াজ ও রসুনের দিকে ঝুঁকছেন এখানকার কৃষকরা। আমন ধান কাটার পর জমিতে থাকা কাদা মাটিতে হাল না করেই কৃষকরা এই আবাদ করে থাকেন। এতে উৎপাদন খরচ যেমন কম, তেমনি বালাই সমস্যাও নেই বললেই চলে।
চলনবিল এলাকার ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, তাড়াশ ও বড়াইগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা এই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ফরিদপুর উপজেলার হাদল ধানুয়া ঘাটার কৃষক আব্দুল ইসমাইল হোসেন জানান, “এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ ও রসুন চাষে খরচ হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে বিক্রি হয় ৬০-৭০ হাজার টাকায়।”
বর্তমানে চলনবিলের বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায় এবং রসুন ৬০০০ টাকায়। পণ্যের মান অনুযায়ী দামে কিছুটা তারতম্য থাকলেও দাম কৃষকদের অনুকূলে থাকায় তারা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি হাট ভাঙ্গুড়ার শরৎনগর হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা যেমন পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ-রসুন কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। গত ২৬ এপ্রিল (শনিবার) হাটে ক্রেতা, বিক্রেতা ও মহাজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে—ভালো মানের পেঁয়াজ ২২০০ টাকা এবং রসুন ৬০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভাঙ্গুড়ার কৃষক হোসেন জানান, “আমি ১০-১২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ-রসুনের আবাদ করেছি। বাজার ভালো থাকায় এবার কৃষকরা ভালো লাভবান হবে বলে আশা করছি।”
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, চলনবিল অঞ্চলে পেঁয়াজ ও রসুন চাষ কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং এটি কৃষকদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
ছাইফুল ইসলাম/রবিউল হাসান