
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
ভোলার লালমোহন উপজেলার মঙ্গলসিকদার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র বর্তমান অবস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মঙ্গলসিকদার বাজারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পূর্ব শাখার বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠন, মঙ্গল সিকদার বাজার ব্যবসায়ী, বাত্তির খাল মৎস্য আড়ত সমিতি, ধলীগৌর নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের বিভিন্ন পেশার মানুষজন অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ধলীগৌর নগর ইউনিয়ন বিএনপি পূর্ব শাখার সভাপতি ইউসুফ মেম্বার, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিং, যুবদলের সভাপতি সোহাগ, ধলীগৌর নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ন কবির, মঙ্গল সিকদার বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল হাই মাতাব্বর, নাহিদ হাসান, বাতিরখাল মৎস্য আড়ত সমিতির সহ-সভাপতি মো. আলমগীর, শিক্ষার্থী মো. মুরাদ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার হলো মঙ্গলসিকদার বাজার। বাজারের ব্যবসায়ীসহ রয়েছে একাধিক ব্যাংক, বিমা এবং এনজিও। পাশাপাশি এখানে রয়েছে লঞ্চঘাট, উপজেলার সবচেয়ে বড় মাছ ঘাট, ধলীগৌর নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদক, নৌডাকাতসহ সকল অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলার স্থিতিশীল বজায় রাখা এবং সর্ব সাধারণ মানুষজনের নিরাপত্তার স্বার্থে ২০১৪ সালে প্রথম মঙ্গল সিকদার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ধলীগৌর নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২টি কক্ষে স্থাপন করা হয়। তদন্ত কেন্দ্রটি স্থাপনের পর থেকেই এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হতে থাকে। হঠাৎ মঙ্গলসিকদার তদন্ত কেন্দ্রটি বর্তমান স্থান ধলী গৌর নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলমান রয়েছে। এই তদন্ত কেন্দ্রটি বর্তমান স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিলে এই এলাকার আইন শৃঙ্খলা অবনতি হবে। তাই তদন্ত কেন্দ্রটি বর্তমানে যেখানে রয়েছে সেখানে থাকার জন্য ভোলা-৩ আসনের সাবেক সফল সংসদ সদস্য মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।
মঙ্গলসিকদার পুলিশ তদন্তকেন্দ্র অন্যত্র সরিয়ে নেয়া এবং মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফাঁড়িতে অফিস করা, থাকা এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আইজিপির বরাবর ফাঁড়ি থেকে আবেদন করা হয়েছে। আইজিপি স্যার বলেছেন সুবিধাজনক জায়গা দেখে ফাঁড়ি স্থানান্তর করার জন্য। আমাদের বক্তব্য হলো পুলিশ হলো জনগণের জন্য এবং পুলিশ জনগণের বন্ধু। আমার মতে জনগণ যেটা চায় সেটাই হওয়া উচিত এবং হবে।
ফারুক