
ছবিঃ সংগৃহীত
পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতরা এখনো দক্ষিণ কাশ্মীরের গহীন বনাঞ্চলে আত্মগোপনে রয়েছে—এমনটি জানিয়েছে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। সংস্থাটির ধারণা, অন্তত চারজন সন্ত্রাসী ওই অঞ্চলে লুকিয়ে আছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় পাকিস্তান আগ বাড়িয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে ভারত যদি পরিস্থিতি উসকে দেয়, তাহলে জবাব দিতে পিছপা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামাবাদ। এরই মধ্যে কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) টানা সপ্তম রাতের মতো থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এলওসির কুপওয়াড়া, উরি এবং আখুর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে এনআইএ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসীরা এখনো দক্ষিণ কাশ্মীরে অবস্থান করছে এবং অন্তত চারজন হামলাকারী গহীন বনাঞ্চলে লুকিয়ে আছে।
এই হামলার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “২৬ জন মানুষকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। এই ভয়াবহ হামলার পেছনে কারা জড়িত, তা স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উচিত দ্রুত ও শক্ত জবাব দেওয়া। সময় নষ্ট করা চলবে না।”
পাকিস্তান যদিও পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে চায় না, তবুও দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার এক বিবৃতিতে বলেন, “পাকিস্তান আগ বাড়িয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে না। তবে ভারত যদি উত্তেজনা বাড়ায়, তাহলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। পেহেলগাম হামলার সঙ্গে ইসলামাবাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ঘটনার একটি স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া উচিত। রাজনৈতিক স্বার্থে দিল্লি এই অভিযোগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।”
এদিকে এলওসিতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের জন্য ভারতের আকাশসীমা ছয় দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পাকিস্তান নিবন্ধিত, পরিচালিত অথবা লিজ নেওয়া কোনো এয়ারলাইন্স ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। এমনিতেই কয়েকদিন ধরে পাকিস্তানের বিমানগুলো ভারতীয় আকাশসীমা এড়িয়ে চলাচল করছে।
ইমরান