
ছবি: সংগৃহীত।
চারপাশে কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত চাপের মুখে পড়ে ভারত এখন আফগানিস্তানের দিকে কৌশলগত হাত বাড়িয়েছে—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কাবুলে ভারতের প্রতিনিধিদের আকস্মিক সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরপরই ভারতের বিশেষ প্রতিনিধি দল ছুটে যান কাবুলে। আফগান তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকও করেন তারা। ভারতের দাবি, সম্পর্ক জোরদারই এই বৈঠকের উদ্দেশ্য। তবে সময় ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে এটি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক এই সফরকে ঘিরে আলোচনায় এসেছে এক নতুন কৌশল—আফগানিস্তানকে পাকিস্তান সীমান্তে সক্রিয় রেখে দুই দিক থেকে চাপ তৈরি করা। যুদ্ধংদেহী মোদি সরকার হয়তো "সার্জিক্যাল স্ট্রাইক" বা বড় আকারের সামরিক অভিযানের কথা ভাবছে। তবে আফগানিস্তানকে এ যুদ্ধে সরাসরি না টেনেও সেখানে অবস্থানরত বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করার সম্ভাবনা অস্বীকার করছে না পাকিস্তান।
পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর প্রত্যক্ষ মদদেই বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির জাফর এক্সপ্রেসে ভয়াবহ হামলার জন্যও তারা ভারতকে দায়ী করে আসছে। শাহবাজ শরিফ সরকার বলছে, আফগানিস্তান সীমান্তে ভারতপন্থী শক্তিগুলোকে উসকে দিয়ে দেশটির সার্বভৌমত্বে আঘাত হানা হচ্ছে।
ভারত কী কৌশল নেবে—সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, না পূর্ণাঙ্গ সামরিক অভিযান? এই প্রশ্ন এখন সময়ের অন্যতম জ্বলন্ত ইস্যু। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, যে কোনো হামলাই এবার পূর্ণমাত্রিক যুদ্ধ ডেকে আনতে পারে। পাকিস্তানি বাহিনীও নাকি সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
দক্ষিণ এশিয়ার এই সাম্প্রতিক উত্তাপ শুধু অঞ্চল নয়, বিশ্ব রাজনীতির কাছেও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নুসরাত