
ছবি: জনকণ্ঠ
শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা নলিতাবাড়ি, শ্রীবর্দী ও ঝিনাইগাতিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও খুশি নন কৃষকরা। বন্য হাতির তাণ্ডব ও আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের আতঙ্কে চাষিরা কাঁচা অবস্থায়ই ধান ঘরে তুলছেন। ফলন আশানুরূপ হলেও বাজারে নতুন ধানের দাম নিয়ে রয়েছে চরম দুশ্চিন্তা।
গত ১৫ দিন ধরে তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ধানখেতে বন্য হাতির দল ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। সন্ধ্যা হলেই দল বেঁধে হানা দিয়েছে তারা। অনেক কৃষক রাতভর জেগে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেও ফসল রক্ষা করতে পারেননি। এক কৃষক জানান, “আজকেও মানুষ মাইরা আসছে। এক পালা হাতি আইসা ৪০-৪৫টা ধানখেত খাইয়া ফেলছে।” বাধ্য হয়ে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন।
অন্যদিকে ধান চাষে সার, বীজ ও সেচের খরচ বাড়লেও বাজারে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০০ টাকা মণ দরে। এতে করে চাষিদের শ্রমিকের মজুরি মেটাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। কৃষকরা জানান, এক একরে ধান চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজারদরে সে খরচই উঠছে না। বর্তমানে কামলার মজুরি ১ হাজার টাকা, যা ধান কাটার মৌসুমে আরও বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ৮০ শতাংশ পাকা ধান এখনই কেটে ফেলার জন্য। ইতোমধ্যে খাদ্য বিভাগ ধান সংগ্রহ অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেছে এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভাজন সম্পন্ন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা আশাবাদী, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বাড়বে এবং কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে।
জেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর শেরপুরে বড় ধানের আবাদ হয়েছে ৯১,৯৪৯ হেক্টর জমিতে, যা শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ১৮ শতাংশ ফসল কাটা হয়েছে
সূত্র: https://youtu.be/33Ar2AC1h3c?si=7DiQjmtUV8ogFMbw
রবিউল হাসান