
ছবি: জনকণ্ঠ
কলাপাড়া পৌরবাসীর প্রাণের দাবি একমাত্র খালটির বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম আরো আগেই শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রহমতপুর এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে। বন্ধের দিনেও এ কার্যক্রম নিজে থেকে মনিটরিং করছেন ইউএনও ও কলাপাড়া পৌরপ্রশাসক মো. রবিউল ইসলাম। এর ফলে খালটির পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
অন্তত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ খালটিতে দুই পাড়ের বাসীন্দাসহ পৌরসভার অধিকাংশ মানুষ বছরের পর বছর ধরে প্লাস্টিক পলিথিন থেকে শুরু করে পারিবারিক সকল বর্জ্য খালটিতে ফেলার কারণে ভরাট হয়ে গেছে। পানির প্রবাহ এ কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ময়লা-আবর্জনা পচে গলে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পৌরশহরে বসবাস উপযোগী পরিবেশ না থাকার অবস্থা হয়েছে। ফলে সচেতন মানুষসহ পরিবেশ কর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো রবিউল ইসলামের দ্বারস্থ হন।
তারা খালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। বর্তমানে পৌরবাসীর প্রাণের দাবি পুরণে এগিয়ে আসায় রবিউল ইসলাম কে পরিবেশ কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ পৌরবাসী ধন্যবাদ জানান। প্রকাশ করেন কৃতজ্ঞতা। এক কথায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। নাগরিক সেবা নিশ্চিতে তার ভূমিকার প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানান আমরা কলাপাড়াবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সংগঠক নজরুল ইসলাম।
ইউএনও ও পৌরসভার প্রশাসক মো রবিউল ইসলাম জানান, খালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমসহ নাগরিক সেবা নিশ্চিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সম্মানিত পৌরবাসীর সহায়তা। নইলে এর ধারাবাহিক সুফল পাওয়া যাবে না।
শহীদ