
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সরকারের একটি অংশ সুপরিকল্পিতভাবে সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে চায়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগণের মধ্যে এ ধরনের বিশ্বাস দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি মনে করে, সংস্কার এবং নির্বাচন—উভয়ই প্রয়োজন। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার আহ্বান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করুন এবং সুনির্দিষ্টভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করুন। তিনি বলেন, "সরকারের কর্মপরিকল্পনায় গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে পথনকশা সুস্পষ্ট থাকলে জনমনে সন্দেহ ও সংশয় দূর হবে।"
তিনি বলেন, "বিদেশিদের স্বার্থ নয়, দেশের মানুষের স্বার্থই আমাদের প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিত। বৈষম্যহীন, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।"
তারেক রহমান আরও বলেন, “গত দেড় দশক ধরে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা জনগণকে বন্দি করে রেখেছে। যদিও সেই শাসনের পতন ঘটেছে, তবে এখনো জনগণের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।”
তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনির্দিষ্টকালের জন্য সমর্থন দেওয়া যৌক্তিক নয়। জনগণের ভোটে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠাই জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, এবং অতীতের মতো ভবিষ্যতেও বিএনপি মানুষের অধিকারের প্রতি সম্মান রেখে কাজ করবে। “এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়নি,” বলেন তিনি।
সমাবেশে তিনি শ্রমিকদের প্রসঙ্গে বলেন, “গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকাশক্তি শ্রমিকরা আজ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অভাবে তাদের কথা বলতে পারছে না। তাদের কথা শোনার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।”
এর আগে ‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাক’ স্লোগানে নয়াপল্টনে শুরু হয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশ। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সমাবেশের মূল কার্যক্রম। সমাবেশ ঘিরে দুপুর ১২টা থেকেই রাজধানী ও আশপাশের জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হন।
আসিফ