
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারতকে তীব্র কটাক্ষ করে পেহেলগামের নারকীয় ঘটনায় সেনাবাহিনীকে দায়ী করে বিপাকে পড়েছেন সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি। তাঁর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শুধু ভারতীয় ক্রিকেটাররাই নয়, পাকিস্তানেও তাঁর সাবেক সতীর্থরা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। এর ফলে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আফ্রিদির ইউটিউব চ্যানেল।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিচ্ছে। এই উত্তেজনার মাঝেই টকশোর মাধ্যমে একে অপরকে কথার বাণে বিদ্ধ করছেন শাহিদ আফ্রিদি ও শিখর ধাওয়ান।
২৭ এপ্রিল পাকিস্তানের সামা টিভির এক টকশোতে অংশ নিয়ে শাহিদ আফ্রিদি বলেন, “কাশ্মীরে আট লাখ সেনা মোতায়েনের পরও যদি এমন হামলা হয়, তাহলে এটা প্রমাণ করে তারা অযোগ্য ও অকর্মণ্য। নিজেদের দেশের মানুষকেও নিরাপত্তা দিতে পারছে না।”
এই মন্তব্যের জবাবে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে আফ্রিদির বক্তব্যের লিংক শেয়ার করে লেখেন, “কারগেলেও তোমাদের হারিয়েছিলাম। এত নিচে নেমে গেছো, আর কত নিচে নামবে? অহেতুক মন্তব্য না করে নিজের দেশের উন্নয়নে মন দাও।”
তিনি আরও লেখেন, “আমরা আমাদের সেনাবাহিনী নিয়ে গর্বিত।” সেই পোস্টে ভারতের পক্ষেও স্লোগান দেন তিনি।
শিখরের কটাক্ষের জবাবে আফ্রিদি ২০১৯ সালের এয়ার স্ট্রাইকের সময় পাক সেনার হাতে ধরা পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে চা দেওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “হার-জিত বাদ, শিখর ধাওয়ান—তোমাকে চা খাওয়াতে চাই।”
কিন্তু এখানেই শেষ নয়—পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “যে ব্যক্তি হিন্দুদের সঙ্গে বসে খেতেও রাজি না, সে এখন চা খাওয়াতে চায়? জানতাম না ভণ্ডামি চা সার্ভিসের সাথেও আসে!”
আফ্রিদির এই বক্তব্য ঘিরে ওঠা সোরগোলে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁর ইউটিউব চ্যানেল। এর ফলে শোয়েব আখতার, বাসিত আলী, রাশিদ লতিফ ও তানভির আহমেদের পর পঞ্চম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে আফ্রিদি ইউটিউব নিষেধাজ্ঞার শিকার হলেন।
ইমরান