
বলিউডে সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেম এক সময় ছিল সবচেয়ে আলোচিত সম্পর্কগুলোর একটি। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির শুটিং থেকেই শুরু এই প্রেমের গল্প। গুঞ্জন ছিল, এই সম্পর্ক নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস ছিলেন সালমান; এমনকি বিয়ের কথাও ভাবছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন পরই শুরু হয় টানাপোড়েন, ভেঙে যায় সম্পর্ক। আর সেই ভাঙনের গল্প আজও রয়ে গেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
তবে এত বছর পর এসে এই সম্পর্ক ভাঙার বিষয়ে মুখ খুলেছেন সালমানের ছোট ভাই সোহেল খান। তার দাবি, এই বিচ্ছেদের জন্য মূলত দায়ী ছিলেন ঐশ্বরিয়াই।
সোহেল বলেন, সালমান ঐশ্বরিয়াকে সত্যিই ভালোবাসত। সে চেয়েছিল সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে। কিন্তু ঐশ্বরিয়া চেয়েছিলেন সম্পর্কটা গোপন রাখতে। এখান থেকেই সালমানের মধ্যে তৈরি হয় নিরাপত্তাহীনতা।
তিনি আরও বলেন, ঐশ্বরিয়া কখনোই সম্পর্কের প্রতি পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন না। তিনি নিজেই বুঝতে পারছিলেন না সামনে কী করবেন। এই অনিশ্চয়তাই সালমানের জন্য ছিল সবচেয়ে কষ্টদায়ক।
তবে বলিউডের ভেতরের সূত্র বলছে, প্রেম ভাঙার অন্যতম কারণ ছিল সালমানের অতিরিক্ত খবরদারি ও রাগের সমস্যা। এমনকি একাধিকবার সালমান নাকি ঐশ্বরিয়ার উপর শারীরিক নির্যাতনও করেছিলেন। এ নিয়ে অভিনেত্রীর পরিবারও বিরক্ত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন ঐশ্বরিয়া।
তৎকালীন সময়ে সালমানের বিরুদ্ধে চলছিল কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের মামলা, সঙ্গে চলছিল মাদকাসক্তি ও অস্থির ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনা—যা সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে ঐশ্বরিয়া কখনোই এই সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে বিস্তারিত কিছু বলেননি। বর্তমানে তিনি অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিবাহিত এবং এক কন্যাসন্তানের মা।
বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও, সালমান-ঐশ্বরিয়ার অসমাপ্ত প্রেম আজও বলিউডের অন্যতম আলোচিত এক ‘ট্র্যাজেডি লাভ স্টোরি’ হিসেবেই রয়ে গেছে।
এসএফ