
টেকনাফের নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারে যাওয়া ৪ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আরাকান আর্মি। মুলত মাদকের চালান আনতে গিয়ে এই ৪ রোহিঙ্গা আরাকান আর্মির হাতে আটক হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। যদিও ইতোমধ্যে ৪ রোহিঙ্গা মাছ ধরতে গিয়ে নাফনদী থেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে প্রচার চালাচ্ছে রোহিঙ্গাদের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে টেকনাফের হ্নীলা দমদমিয়া সংলগ্ন লালদিয়া নামের চরে এই ৪ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এই ৪ জন হচ্ছে, আরাফাত উল্লাহ, আনিস উল্লাহ, মো. জাবের ও আনোয়ার সাদেক। তারা সবাই টেকনাফের জাদিমুড়া ২৭ নম্বর ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা।
হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, নাফনদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বিভিন্ন সময় আরাকান আর্মি বাংলাদেশী জেলেদের ধরে নিয়ে যায় এটা সত্য। তবে বৃহস্পতিবার যে ৪ রোহিঙ্গার কথা বলা হচ্ছে তারা জেলে নয়। মূলত মাদক (ইয়াবা) আনতে এসব রোহিঙ্গারা মিয়নমারের আসা-যাওয়া করে। যে লালদিয়ার কথা বলা হচ্ছে, ওটা মিয়ানমারের অংশ। ওখানে জেলেরা মাছ ধরতে যান না। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে এই ৪ রোহিঙ্গা মাদক আনতে গিয়ে আটক হয়েছে। এখন কৌশলগত কারণে মিথ্যা বলছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তো ক্যাম্প থেকে বের হওয়ার অনুমতি নেই। এরা মাছ ধরতে যাবে কেন?
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় চার রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে গেছে বিভিন্ন সূত্রে শুনতে পাচ্ছি। বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে। রোহিঙ্গারা মাছ ধরতে নাকি ভিন্ন কারণে গেছে দেখা হচ্ছে।
টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ নুর বলেন, নাফনদীতে মাছ ধরতে গিয়েই ৪ জনকে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৌকাসহ ধরে নিয়ে যায়। এতে আরও বেশ কয়েকজন জেলে পালিয়ে আসে।
রাজু