
ছবিঃ সংগৃহীত
জীবনের কঠিন সব চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে এসেও যারা প্রতিদিনের সূর্যকে হাসিমুখে স্বাগত জানান—তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা অপরিসীম। তারা কষ্ট পেয়েছেন, হয়তো প্রতারিত হয়েছেন বা হারিয়েছেন প্রিয়জন, কিন্তু তবুও তারা কঠিন হয়ে ওঠেননি—বরং আরও সহানুভূতিশীল হয়েছেন। তারা কোমল থেকেও খুব দৃঢ়। আর তাদের মধ্যে থাকা কয়েকটি গুণ এই দৃঢ়তা এনে দেয়।
এই নারীরা কেবল প্রিয়জনের প্রতিই নয়, অপরিচিতদের প্রতিও সহানুভূতিশীল। জীবনের কষ্ট তাদের হৃদয়কে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে। ভাঙা হৃদয় নিয়ে অসহায় নয়, বরং সাহসের সাথে প্রকাশ করেন নিজেদের দুর্বলতা। তারা জানেন, আবেগ লুকিয়ে রাখা নয়, তা স্বীকার করাই সাহসিকতা। কাঁদা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, বা ভয় স্বীকার—সবকিছু তারা লজ্জা ছাড়াই করেন।
তারা বিশ্বাস করেন, আমি পারব না ধরনের চিন্তা আসলে শেখা ভুল ধারণা। নিজেদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা নতুন বিশ্বাস গড়েন। তারা শক্তিশালী সীমারেখা তৈরি করেন, কিন্তু সম্পর্ক ছেঁটে ফেলেন না। তারা নিজের ভালো-মন্দের সীমা জানেন। অন্যের কষ্টে পাশে থাকলেও, নিজের মানসিক শান্তি বিঘ্ন হলে সরে যান। এটা আত্মরক্ষা, না আত্মকেন্দ্রিকতা।
তাদের আত্মবিশ্বাস চিৎকারে নয়, শান্ত ভঙ্গিতে প্রকাশ পায়। তারা নিজের পরিচয়ে স্থির, তাই পরিবর্তনকে ভয় পান না।বাস্তবতাকে অস্বীকার না করে আশায় বাঁচেন তারা। তারা জানেন জীবন কঠিন, কিন্তু তবুও বিশ্বাস করেন—ভবিষ্যৎ আরও ভালো হতে পারে। এটাই তাদের কোমলতার ভিত্তি।
সূত্রঃ ডেইলি মোটিভেশন নিউজ
আরশি