
ছবি: সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক বিমান হামলায় নাকবার ৭৭তম বার্ষিকীতে অন্তত ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই দিনটি ফিলিস্তিনিরা স্মরণ করে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় তাদের মাতৃভূমি থেকে উৎখাতের বেদনার স্মৃতি নিয়ে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৩,০১০ জনে, এবং আহত হয়েছে ১১৯,৯১৯ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের অধিকাংশকে মৃত হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, মার্কিন কূটনীতিক মার্কো রুবিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজাবাসীর দুর্দশা বুঝতে পারছে—যদিও যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইসরায়েলকে পূর্ণ সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০-রও বেশি মানুষ জিম্মি করা হয়েছিল।
এখন পর্যন্ত গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও জরুরি সহায়তার আহ্বান জানালেও সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণ নেই। নাকবার এই বিশেষ দিনে ইসরায়েলের এই হামলা ইতিহাসের ক্ষতকে আরও গভীর করে তুলেছে।
এসএফ