
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাওয়া কি কাকতালীয় নাকি পরিকল্পিত। এইসব সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী।
তিনি বলেন, আমি জানুয়ারি মাসে ফেসবুকে লিখেছিলাম আমাদের দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, শান্তির জন্য ভারত মুক্ত থাকতে হবে। ভারত মুক্ত থাকতে চাইলে আওয়ামী লীগ মুক্ত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে। এটা আমার জন্য একটা জিহাদ। আওয়ামী লীগ এই দেশের সবচেয়ে বড় দুশমন। তারা দুই বার ফেরাউনি শাসন কায়েম করেছে, একবার শেখ শাহেব আরেকবার তার কন্যা। এরা এই দেশের সবচেয়ে বড় বিষফোঁড়া, এই দেশকে আওয়ামী মুক্ত করতে হবে। আল্লাহ আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছে৷ এটার আমার কাছে তাই একটা জিহাদ।
তিনি আরো বলেন, এই দেশ থেকে আওয়ামী লীগের নাম মুছে ফেলতে হবে, এদের শিকর উপচে ফেলতে হবে। যদি ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে পারে, তাহলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বাধা কিসের এটা আমি জানি না। ট্রাইব্যুনালের বিচার পর্যন্ত কার্যক্রম স্থগিত, এতে আমি সন্তুষ্ট না। কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা দুইটা দুই কথা। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। এটা আমার কাছে শুভঙ্করের ফাঁকি মনে হয়েছে।
বৃক্ষ তোমার নাম কী ফলে পরিচয়, ছাত্রলীগ হলো ফল আর বৃক্ষ হলো আওয়ামী লীগ। যদি ফল নিষিদ্ধ হয় তাহলে বৃক্ষ কেন নিষিদ্ধ হবে না। ছাত্রলীগকে পেলেপুষে গুন্ডা বানিয়েছে তো আওয়ামী লীগই। আওয়ামী লীগ তো কোন রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। সারাদেশের মানুষ যেখানে চাচ্ছিল নিষিদ্ধ করা হোক, সেখানে বিচার পর্যন্ত আমার কাছে পছন্দ হয়নি। সরাসরি নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল আওয়ামী লীগকে।
আমান আযমী বলেন, দ্বিতীয় হলো সেলিনা হায়াৎ আইভী কে গ্রেপ্তার। তাকে কী ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানি না, তিনি তো পালিয়ে যাননি। রাতে অভিযান না চালিয়ে দিনেও করতে পারত। কি অপরাধের জন্য তাকে ধরা হয়েছে তাও জানি না। তিনি কোন অপরাধ করলে তো অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের মত পালিয়ে যেতেন। আমি শুনেছি, তিনি যখন মেয়র ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এটা হলে তিনি একদম ফ্যাসিবাদের ভাব শিষ্য এরকম মনে করার সুযোগ নাই। তিনি কোন অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করতেই পারে, তবে প্রক্রিয়াটা স্বাভাবিক হলে ভালো হতো।
তিনি আর বলেন, তৃতীয় হলো আব্দুল হামিদ সাহেব। বলা হয়েছে তিনি ক্যান্সার ট্রিটমেন্টের জন্য গিয়েছেন। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে যে কেউ চিকিৎসা নিতে বিদেশ যেতে পারেন। তার কোন অপরাধ থাকলে নিষেধাজ্ঞা থাকতো। সেতো পালিয়ে যায়নি।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া, একজন দেশ থেকে যাওয়া, একজন গ্রেপ্তার হওয়া এটার ভিতর কোন সম্পর্ক আছে নাকি কাকতালীয়ভাবে একসাথে হয়ে গেছে আমি জানি না।
রিফাত