
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইড। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "আমাদের সব রকমের খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে, ফলে আমরা আর বিতরণ করতে পারছি না।"
ইসলামিক রিলিফ আরও জানায়, "গাজায় কোনো খাদ্য প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওষুধ, হাসপাতাল ও বেকারি চালাতে প্রয়োজনীয় জ্বালানিও নেই। এমনকি বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য ত্রিপল, আহতদের জন্য ব্যথানাশক, কিংবা নবজাতকদের জন্য ইনকিউবেটরও নেই। শিশুদের এখন অনাহার ও রোগে মৃত্যু হচ্ছে।"
তারা সতর্ক করে বলেছে, "এই মহাবিপর্যয় সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য। ইসরায়েল যদি সীমান্ত ক্রসিংগুলো খুলে দেয়, তাহলে সাহায্যবাহী ট্রাকগুলো সঙ্গে সঙ্গেই খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দিতে পারবে।"
তবে সংস্থাটি জানায়, তারা এখনও গাজায় ২০,০০০-এরও বেশি এতিম শিশু ও তাদের অভিভাবকদের নগদ অর্থ সহায়তা, গর্ভবতী নারীদের জন্য মাতৃসেবা, এবং ডজনেরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে জীবাণুনাশক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।
ইসলামিক রিলিফ বলেছে, “ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে এই অঞ্চলটি এখন মানবিক সহায়তা বিতরণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন ও বিপজ্জনক স্থান হয়ে উঠেছে।” আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছে, “অবরোধ প্রত্যাহারে ইসরায়েলের ওপর তীব্র আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে।”
সবশেষে তারা সতর্ক করে বলে, "প্রতিদিন যখন মানুষ অনাহারে মরছে, তখন যে কেউ যদি এখন চুপ করে থাকে, ইতিহাস তাকে ক্ষমা করবে না।"
সূত্রঃ বিবিসি
ইমরান