
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়নি, বরং আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ১৮ ধারাটা সংশোধন করে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের একটি টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে যতদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যে মামলাগুলো শুরু হয়েছে সেগুলো শেষ না হয়। এবং এই ক্ষমতাটা দেয়া আছে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ২০০৯ সালের, ওটার সেকশন ১৮-এ। সেকশন ১৮-টাও কিন্তু সংশোধন করা হয়েছে। সেকশন ১৮-এ আগে যে ক্ষমতাটা দেওয়া ছিল সেটা ছিল সরকার যেকোনো সত্তাকে নিষিদ্ধ করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আমি হোম মিনিস্ট্রি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপনটা জারি করেছে, সেটার ভাষাটা দেখছিলাম। ওখানে লেখা আছে যে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গসংগঠন বা আওয়ামী লীগের কোন সহযোগী সংগঠন বা ভাতৃপ্রতিম সংগঠন এরা এ ধরণের কার্যক্রম করতে পারবে না, যেমন প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়া, প্রচারণা, মিছিল, সমাবেশ এগুলো। কিন্তু এটার একটা কিছুদূর ভুল ধারণাও সৃষ্টি হয়েছে যে আমি বা আপনি বা সাধারণ কোন মানুষ কোন ধরনের ফেভারে আওয়ামী লীগের কথা বলতে পারবে না। এ ধরনের কিছু কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে নেই।
তিনি বলেন, এই ক্ষমতাটা সরকারকে সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে যে কোন সত্তাকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় বা তাদের কার্যক্রম যদি নিষিদ্ধ করা হয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে যদি মনে হয় প্রয়োজন, সরকার তাদের পক্ষে, তাদের সমর্থনে সব ধরনের বক্তব্য, প্রেস রিলিজ, মিছিল, সমাবেশ যদি তাদের কোন অঙ্গসংগঠন নাও করে থাকে, সেটাকেও নিষিদ্ধ করতে পারবে। এই ক্ষমতাটা সরকার নিজের কাছে রিজার্ভ করে রেখেছে সংশোধনের মাধ্যমে, যেটা অত্যন্ত বিতর্কিত হয়ে উঠেছে, কারণ এটা খুব ওয়াইড ক্ষমতা। এটা মানে আমি, আপনি বা কেউই কিছু বলতে পারবেন না বা কেউই কিছু বলতে পারবে না সমর্থনে বা পক্ষে। কিন্তু নিষিদ্ধ শুধু করা হয়েছে অঙ্গসংগঠন এবং আওয়ামী লীগের কার্যক্রমগুলোকে। মানে আমি বা আপনি এখনো কিন্তু পক্ষে বা সমর্থনে চাইলে বলতে পারি। সরকার ওই ক্ষমতাটা রেখেছে, কিন্তু এখনও ওরকম কোন প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।
এসএফ