
ছবি: সংগৃহীত
পেহেলগাম জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন ‘সিঁদুর’-এর প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর জেলায় কমপক্ষে ১৭ নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ‘সিঁদুর’। স্থানীয়দের মতে, এই নাম শুধু একটি প্রতীক নয়, বরং এটি আত্মত্যাগ, সাহস এবং জাতীয় ঐক্যেরও প্রতিফলন।
দ্যা ইকোনমিক টাইমস নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৯ ও ১০ মে, যখন অপারেশন সিঁদুর চলছিল, ঠিক সেই সময়ই এই ১৭ শিশুর জন্ম হয় কুশীনগরের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালটির প্রিন্সিপাল ড. আর. কে. শাহী “১৭ নবজাতকের নাম ‘সিঁদুর’ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুশীনগরের বাসিন্দা নেহা গুপ্ত জানান, “আমার সন্তান জন্ম নেয় ৯ মে, যখন আমাদের সাহসী সৈনিকরা পাহলগাম হামলার বদলা নিয়েছেন। শহিদদের পরিবারের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে, কিন্তু আমাদের সৈনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও অশেষ। তাই তাদের শ্রদ্ধা জানাতে আমি আমার মেয়ের নাম রেখেছি ‘সিঁদুর’।”
এই নামকরণ প্রথাগত হিন্দু পরিবারগুলোর দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙেছে বলেও জানা গেছে। সাধারণত, এই অঞ্চলে নবজাতকের নাম রাখার দায়িত্ব পালন করে শিশুর পিতার বোন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরাসরি বাবা-মা।
বেদেরিহারি গ্রামের বাসিন্দা অর্চনা শাহী বলেন, “আমার সন্তানের জন্মের আগেই আমি ঠিক করেছিলাম তার নাম হবে ‘সিঁদুর’। কারণ এই নাম এখন সাহস ও দৃঢ়তার প্রতীক।” তার স্বামী অজিত শাহী যোগ করেন, “আমাদের নিরাপত্তার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোটা আমাদের দায়িত্ব। এই নামকরণ সেই কৃতজ্ঞতার এক ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।”
সামাজিক কর্মী রাজেশ মণি বলেন, “এই অঞ্চলের বহু পরিবারে কেউ না কেউ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। সম্ভবত সেই সূত্রেই এমন জাতীয়তাবাদী অনুভূতির সৃষ্টি।”
স্থানীয়রা আশা করছেন, এই শিশুরা ভবিষ্যতে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবে এবং ‘সিঁদুর’ নামের সঙ্গে যুক্ত সাহস ও আত্মত্যাগের আদর্শ বহন করবে।
মুমু