ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বামরা দেশকে বনসাই বানিয়ে রাখতে চায়: প্রেস সচিব

প্রকাশিত: ১৪:২২, ১৬ মে ২০২৫; আপডেট: ১৪:২৪, ১৬ মে ২০২৫

বামরা দেশকে বনসাই বানিয়ে রাখতে চায়: প্রেস সচিব

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ভূমিকা ও অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বামদের দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড হলে বাংলাদেশে জব হবে না, বাংলাদেশকে উনারা বনসাই বানিয়ে রাখতে চান।”

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রসঙ্গের মধ্যে উঠে আসে রাখাইনে তথাকথিত মানবিক করিডর, নিউমোরিং টার্মিনাল, বিদেশীদের ইজারা সংক্রান্ত ইস্যুতে বামদের বিক্ষোভ। এসব প্রসঙ্গে বক্তব্য দিতে গিয়ে শফিকুল আলম স্পষ্ট করেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করার মতো দৃষ্টিভঙ্গি বামপন্থীদের আছে বলেই তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম পোর্ট এফিসিয়েন্ট না করতে পারলে বাংলাদেশে কোনো জব তৈরী হবেনা। প্রচুর জব তৈরী করতে চাইলে প্রধান কাজ চট্টগ্রাম পোর্ট এফিসিয়েন্ট করা।”

তার মতে, “বাংলাদেশে কোনো মিনারেল সোর্স নেই। বাংলাদেশের ম্যাসিভ গ্রোথ করতে চাইলে বাংলাদেশকে রপ্তানি ভিত্তিক গ্রোথ করতে হবে। আর এর জন্য মূল শর্ত হলো পোর্টকে এফিসিয়েন্ট করা।”

বামদের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, “বামরা এখনো অনেক পিছিয়ে পড়ে আছে। এপি মোলার মার্কস ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দ লার্জেস্ট শিপিং কোম্পানি, ওয়ার্ল্ড অফ দ লার্জেস্ট টার্মিনাল অপারেটর। আমরা তাদের সাথে কথা বলছি। ড্যানিশ কোম্পানি ওয়ার্ল্ডের ৭০-৮০টা টার্মিনাল ওরা অপারেট করে। ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট কান্ট্রি। ভিয়েতনাম কিন্তু এখনো ফুললি কমিউনিস্ট কান্ট্রি। ওনারা জন্য উনারা তো লেফটিস্ট পার্টি করেন, ভিয়েতনামটা একটু ঘুরে আসেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কেন নিউমরিং টার্মিনাল বলেন বা আমরা বে টার্মিনাল বলেন বা লালদিয়ার টার্মিনাল বলেন, এটা আমরা কেন দিচ্ছি? চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে বাংলাদেশের ইকোনমিক হৃদস্পন্দন।”

বাংলাদেশের রপ্তানিনির্ভর প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “আপনি ইকোনমিকে বড় করবেন। আজকে যে যমুনা গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ একটা ম্যাসিভ অ্যামাউন্ট অফ এক্সপোর্ট করতে গেলে বা পুরো বাংলাদেশে আমরা এখন এক্সপোর্ট করি ৫০ বিলিয়ন ডলারের মত। আমি যদি পাঁচ বছর এটাকে ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিতে চাই, এই পুরো এক্সপোর্টটা চিটাগং পোর্ট দিয়ে হবে। মংলা এটা পারে না। বেনাপোল পারে না।”

পরিশেষে তিনি বলেন, “তো এটা করতে হলে যে লেভেল অফ এফিশিয়েন্সি লাগবে লজিস্টিকাল, সেটা আমার নাই বলতেই হবে। এই জায়গায় আমরা থুরি বুড়ি ছোটখাট কোন কোম্পানির সাথে কথা বলছি না। আমরা কথা বলছি ওয়ার্ল্ডের যারা লার্জেস্ট পোর্ট অপারেট করে আসে, তাদের সাথে। তারা এটা অপারেট করবে। তারা এই কাজগুলো অনেক জায়গায় করছেন। অনেকেই খুব এফিশিয়েন্টলি করছে।”

 

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/2pm47zea

আফরোজা

×