ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিন

ইউক্রেনের পুরোটাই রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০১, ২১ জুন ২০২৫

ইউক্রেনের পুরোটাই রাশিয়ার

পুতিন

ইউক্রেনের পুরোটাই রাশিয়ার বলে দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। সেন্ট পিটার্সবার্গের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা মেনে নেয়, তবেই শান্তি সম্ভব। এ সময় ইউক্রেনকে বোমা হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ ছাড়াও বিশ্বে বিভিন্ন দেশে চলমান সংঘাত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এসবের মধ্যেই আবারও বন্দি বিনিময় হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে। চলমান যুদ্ধের মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় বন্দি বিনিময় হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে। খবর আরটির।
শনিবার দুই দেশের কর্মকর্তারা জানান, এটি চলমান চুক্তির অংশ। এর আওতায় শুধু জীবিত যুদ্ধবন্দিই নয়, মৃত সেনা সদস্যদের মরদেহও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, অনেক বন্দি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক ছিলেন। সেন্ট পিটার্সবার্গের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে পুতিন বলেন, রুশ সেনার পা যেখানে পড়ে সেটাই রাশিয়ার। তার মতে, রুশ ও ইউক্রেনীয়রা একই জাতি এবং এই অর্থে পুরো ইউক্রেন রাশিয়ার।

এ সময় তিনি জানান, সীমান্ত সুরক্ষায় সুমি অঞ্চলে বাফার জোন তৈরি করছে রাশিয়া এবং প্রয়োজন হলে সুমি শহর দখলও সম্ভব। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে ক্রিমিয়া ও চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল দখলের বৈধতা এখনো স্বীকৃতি পায়নি। পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ চায় না বরং যুদ্ধক্ষেত্রে যে বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে, কিয়েভ তা মেনে নিক। তিনি মনে করেন, ইউক্রেন ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার সময় নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছিল।

আর এখন সেই অবস্থান থেকে সরে গিয়ে পশ্চিমা শক্তির সহায়তায় চলছে সংঘাত। এ ছাড়াও ইরান ও ইসরাইল সংঘাত, পারমাণবিক স্থাপনা ঘিরে উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক অস্থিরতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন পুতিন। তার মতে, বিশ্ব এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এমনটা চলতে থাকলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুও অসম্ভব নয়।

ইউক্রেন বলেছে, পুতিনের মন্তব্য শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি অবমাননার বহির্প্রকাশ। তিন বছরের সংঘাত অবসানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সম্প্রতি স্থবির হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের ওপর পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে মস্কোর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তি চুক্তি নস্যাত করার অভিযোগ করেছে কিয়েভ। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা দখল করে আছে।

×