
দীর্ঘজীবন মানে শুধু বেঁচে থাকা নয়, বরং সুস্থভাবে চলাফেরা করা ও নিজের স্বাধীনতা বজায় রাখা। "The Complete Bone and Joint Health Plan" বইয়ের দুই লেখক ডায়েটিশিয়ান সিডনি নিৎসকর্সকি ও অর্থোপেডিক সার্জন ড. জোসেলিন উইটস্টেইন জানাচ্ছেন, হাড়ের ঘনত্ব (Bone Mineral Density) ৩০ বছর বয়সে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, তারপর থেকে কমতে শুরু করে।
বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজের পর হাড়ের ক্ষয় দ্রুত বাড়ে। তাই শুধু কার্ডিও নয়, হালকা ইমপ্যাক্ট ব্যায়াম ও স্ট্রেংথ ট্রেনিংও জরুরি।
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড় ও জয়েন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ মানুষ ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে পারেন না, ফলে শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম সংগ্রহ করে, যা হাড়কে দুর্বল করে। দুধ, বাঁধাকপি, ব্রকলি, সারডিনের মতো খাবার থেকে ক্যালসিয়াম নেয়া শ্রেয়। বোক চয় (bok choy) এই ক্ষেত্রে অন্যতম উপকারী সবজি, কারণ এর ক্যালসিয়াম সহজেই শরীরে শোষিত হয় এবং এতে আছে ফাইবার, ভিটামিন A ও C।
আর হ্যাঁ, দুধে মেশানো কফির ক্যালসিয়ামও গন্য। একদিনে ৩০০ মিলিগ্রামের কম ক্যাফেইন গ্রহণ করলে হাড়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। বরং কফির মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি পলিফেনল যৌগ যেমন কোয়ারসেটিন জয়েন্টের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
বয়স যতই হোক না কেন, এখনই শুরু করুন হাড় ও জয়েন্টের যত্ন। কারণ শক্তিশালী ভবিষ্যতের ভিত্তি তৈরি হয় আজকের অভ্যাসে।
Jahan