ছবিঃ সংগৃহীত
খুলনা প্রেস ক্লাবে বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে এ বৈঠক করেন তিনি। এর আগে, শনিবার বিকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর প্রেস সচিব তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবগত করবেন বলে আশ্বাস দেন প্রেস সচিব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, “আমরা প্রেস সচিবের কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাইনি। আমরা আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সমাধান চেয়েছি। আমরা শুধু প্রেস সচিবের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বার্তা দিতে চাই—এ অযোগ্য পুলিশ কমিশনার খুলনায় থাকতে পারবে না। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”
এর আগে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) মারধর করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় ফুলবাড়ি গেট এলাকার স্থানীয়রা। পরে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
সুশান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার (২৫ জুন) দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। এক পর্যায়ে তারা দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর আন্দোলনের মুখে পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশকে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে।
কিন্তু সুকান্ত দাশকে প্রথমে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইমরান
