
ছবি : সংগৃহীত
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তুলনায় শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক কম থাকে। ফলে তারা প্রায়ই নানা ধরনের পেটের অসুখে ভোগে। অনেক শিশু গ্যাস বা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যায় ভোগে। শিশুর হজমে কোনো সমস্যা হলে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনা জরুরি। ভাজাপোড়া বা ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে মেনুতে পুষ্টিকর ও হজমযোগ্য খাবার আনা জরুরি
ভাত: শিশুর গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে নরম করে রান্না করা ভাত খাওয়ানো উচিত। এ অবস্থায় রুটি খাওয়ানো যাবে না। কারণ রুটিতে গ্লুটেন থাকে, যা অনেকে সহ্য করতে পারে না। যার কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা রুটির বদলে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভাত সহজে হজম হয়।
দই: শিশুর গ্যাসের সমস্যা বা হজমে গণ্ডগোল হলে তাকে দই খাওয়ানো জরুরি। দুগ্ধজাত খাবারে প্রোবায়োটিক থাকে। যার কারণে পেটে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা থাকে। অন্যান্য জটিল রোগের ঝুঁকি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। শিশুকে নিয়মিত দই খাওয়ালে তার শরীরে প্রোটিন, ক্যালসিয়ামসহ একাধিক জরুরি পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিও মিটিয়ে ফেলা যায়।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোতে ফাইবার থাকে। নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অ্যাভোকাডোতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
মাছ: সন্তানের সুস্থতায় তার ডায়েটে নিয়মিত মাছ রাখতে হবে। মাছ প্রোটিনের ঘাটতি মেটায়। মাছ সহজে হজমও হয়। বিশেষজ্ঞরা শিশুদের ছোট মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি হার্ট ও ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
শসা: শসা হজমে সাহায্য করে। শিশুর খাদ্যতালিকায় তাই শসা রাখা জরুরি। এতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের হাল ফেরায়, গ্যাস-অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
খাবারে অতিরিক্ত মসলা ব্যবহার করা যাবে না।
শিশুকে বেশি ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
এছাড়া ভিনেগার ও সাইট্রাস ফলের মতো উচ্চ অম্লযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
ফ্রুক্টোজের মতো অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবারও হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
চিনি, সাদা ভাত, সাদা রুটির মতো পরিশোধিত খাবার খাওয়ার ফলে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
পনির ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার কম খাওয়া।
সাব্বির