ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, দৈনন্দিন জীবনে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে হার্টকে সুস্থ ও ঝুঁকিমুক্ত রাখা সম্ভব। নিচে এমন পাঁচটি অভ্যাস তুলে ধরা হলো, যেগুলো মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
১. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম
বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম (যেমন brisk walking, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা) হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়। ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. সুষম ও হৃদয়বান্ধব খাদ্যাভ্যাস
ফল, সবজি, পূর্ণশস্য, বাদাম এবং ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি। রেড মিট, ট্রান্স ফ্যাট, অতিরিক্ত লবণ ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চললে হার্ট ভালো থাকে। বিশেষজ্ঞরা "মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট" অনুসরণ করার পরামর্শ দেন।
৩. ধূমপান ও তামাক বর্জন
তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার রক্তনালী সংকোচনের পাশাপাশি রক্তে চর্বির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ধূমপান ছাড়ার পর মাত্র এক বছরের মধ্যেই হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেকে নেমে আসে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
৪. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ হৃদপিণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করাও হার্টের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা জরুরি। প্রাথমিকভাবে ঝুঁকি শনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া গেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে যারা পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস আছে, তাদের বছরে অন্তত একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ছোট কিছু পরিবর্তন আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসে বড় রকমের পার্থক্য আনতে পারে। সুস্থ হৃদয়ের জন্য এই পাঁচটি অভ্যাস প্রতিদিন চর্চা করাই হতে পারে আপনার জীবনের বড় সুরক্ষা।
ফারুক
