
ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আজহার খুব বেশি দেরি নেই। আর কোরবানির ঈদ মানেই বিভিন্ন রকমের পশু কোরবানি দেওয়া। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কোরবানি হয় গরু। যার কারণে সকলের ঘরেই কম বেশি গরুর মাংস রান্না হয়।
এদিকে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস ও লবণের ব্যবহার আমাদের সবার স্বাস্থ্যের নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের এ সময় বেশি সতর্ক থাকা উচিত। সেটি না হলে হঠাৎ করেই ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
আবার এসময় কমবেশি সবাই দাওয়াত, আড্ডা, ঘোরাঘুরি ও আনন্দের মধ্য দিয়ে সময় কাটায়। এর ফলে অতিরিক্ত খাবারও খাওয়া হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শরীরে।
তাই ঈদে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত ভোজন পরিহার করতে হবে। যখন আপনার ক্যালোরি অনুযায়ী খাবার খাওয়া হয়ে যাবে, তখনই আপনি টেবিল ছেড়ে উঠে পড়ুন। সাধারণত এ ধরনের উৎসবে সবার সঙ্গে বসে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়, কারোর অনুরোধে খাদ্য তালিকার বাইরে অতিরিক্ত খাবার খাবেন না।
মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা করলে খেজুর আখরোট বা শুকনো ডুমুর খাওয়ার চেষ্টা করেন। এগুলোতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এগুলো খেলেই দেখবেন মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
ঈদেও পাতে সবজি রাখুন। আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার সর্বোত্তম উপায় হলো বারবার অল্প অল্প খাবার খাওয়া।
প্রতিদিনের খাদ্য গ্রহণের সময় অপরিবর্তিত রাখুন। অন্যান্য দিনের মতো উৎসবের দিনগুলোতেও দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা ও খাদ্য গ্রহণের সময়সূচি মেনে চলুন।
কোমলপানীয় নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অতিরিক্ত সুগারযুক্ত কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকস বা ফলের জুস পরিহার করুন। তার পরিবর্তে চলতে পারে ডাবের পানি, গ্রিন টি, আদা চা। আর গরম থাকলে অবশ্যই যথেষ্ট ও পরিমাণমতো পানি পানের ব্যাপারটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।
সর্বোপরি বছরের অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে উৎসবগুলোতে বাড়িতে গ্লুকোমিটারের মাধ্যমে রক্তের সুগারের মাত্রা একাধিকবার চেক করতে হবে। প্রয়োজনে সুগারের মাত্রানুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনসুলিনের মাত্রা নির্ধারণ করুন।
মুমু