
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ স্ট্রোক। হৃদরোগের পর এটি দ্বিতীয় শীর্ষ ঘাতক হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশেও প্রতিবছর অনেক মানুষ স্ট্রোকজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হন। তবে সচেতন জীবনযাপন এবং কিছু সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞদের মতে স্ট্রোক প্রতিরোধে ৭টি কার্যকর পরামর্শ:
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের প্রধান কারণ। নিয়মিত রক্তচাপ মাপা ও প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
২. রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন
ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ না থাকলে রক্তনালির ক্ষতি হয়, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
৩. ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন
ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ায়, যা স্ট্রোক ডেকে আনতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
ফলমূল, শাকসবজি, কম লবণ ও কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
৫. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, সাইক্লিং বা হালকা ব্যায়াম হৃদ্স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়ক।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
৭. মানসিক চাপ কমান ও ঘুম ঠিক রাখুন
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও ঘুমের সমস্যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় সহায়ক।
চিকিৎসকদের মতে, জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনলেই স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব। বিশেষ করে যাদের পরিবারে স্ট্রোকের ইতিহাস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সচেতনতা আরও জরুরি।
আলীম