
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সামনে আসে নিরাপত্তা শঙ্কা।
বুধবার (১৪ মে) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ চলে। নিরাপদ ক্যাম্পাস ও বিচার নিশ্চিতের দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে সাম্যর সহপাঠীরা, অংশ নেন শিক্ষকরাও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা সাম্যের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পাসে যখন বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উঠছে, ঠিক তখনই বহিরাগত এনে বিক্ষোভ করার অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সাম্য হত্যার বিচার ও ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে ভিসি চত্বরে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নিউমার্কেট থানা, শাহবাগ থানা, তিতুমীর কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজসহ মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এই কর্মসূচি শেষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও বের করা হয়।
এদিকে বহিরাগত নিয়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে আন্দোলন করার অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বহিরাগতদের সাথে নিয়ে ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার শঙ্কা তৈরি করবে অভিযোগ তাদের।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ ২’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে একটি পুল তৈরি করা হয়, যাতে ভোট দেওয়ার জন্য দুটি অপশন ছিলো- (১) সাম্য হত্যার বিচার ও বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস, (২) সাম্য হত্যার বিচার ও ভিসি-প্রোক্টরের পদত্যাগ। পুলটির ফলাফলে দেখা যায় ৯৭% ভোটার, মোট ভোটারের ৩,৪৪০ জন ভোট দিয়েছেন অপশন ১-এ। অর্থাৎ, ৯৭ শতাংশ ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার বিচার ও বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস চান। আর অপশন ২, ‘সাম্য হত্যার বিচার ও ভিসি-প্রোক্টরের পদত্যাগ’ চেয়েছেন মাত্র ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী (১০৬ জন)।
রাকিব