
ছবি: সংগৃহীত
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে গাউট (gout) ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথার মতো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক পানীয় নিয়মিত খেলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিচে এমন ছয়টি ঘরোয়া পানীয়ের কথা বলা হলো, যেগুলো ইউরিক অ্যাসিড কমাতে এবং কিডনি ও অস্থিসন্ধির স্বাস্থ্যে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
১. লেবু পানি
লেবু শরীরকে ক্ষারীয় করে তোলে এবং ক্যালসিয়াম কার্বোনেট উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ইউরিক অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খালি পেটে লেবু পানি পান করলে শরীর ডিটক্সিফাই হয় এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পানীয়
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং তা মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়। পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়, যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩. শসার রস
শসার রস পানি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি হালকা ক্ষারীয় প্রকৃতির হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবেই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা ডিটক্সিফাইং উপাদান কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং অস্থিসন্ধির প্রদাহ কমায়।
৪. চেরি বা চেরি জুস
চেরিতে প্রচুর অ্যান্থোসায়ানিন থাকে, যা প্রদাহ হ্রাস করে এবং ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত চেরি বা চেরির রস পান করলে গাউটের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিডের স্ফটিক জমা হওয়া প্রতিরোধ করা যায়।
৫. সেলারি বীজের পানি
সেলারি বীজে শক্তিশালী ডাইওরেটিক (মূত্রবর্ধক) উপাদান থাকে, যা শরীর থেকে টক্সিন ও ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সেলারি বীজ ভেজানো পানি পান করলে অস্থিসন্ধির ব্যথা কমে এবং শরীর প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার থাকে।
৬. গ্রিন টি
গ্রিন টিতে থাকে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ইউরিক অ্যাসিড ও প্রদাহ কমাতে কাজ করে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দেহ থেকে বেরিয়ে যায়, ফলে গাউটের ঝুঁকিও কমে।
এই পানীয়গুলো নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করলে ও পর্যাপ্ত পানি পান করলে ইউরিক অ্যাসিডজনিত সমস্যা অনেকটাই সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।