
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, আজকে দেখলাম বলা হচ্ছে রেলভবনে গিয়ে কারা কী তদবির করেছে না-কি এরকম একটা ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। সেখানে আমাকে জড়িয়ে বলা হচ্ছে আমি না-কি তদবির করতে গিয়েছিলাম। কোন অফিসে গিয়ে কে কী তদবির করে জানিনা, আমি তো তদবির করি এবং তার আপডেট ফেসবুকে আপলোডও করি।
কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম সম্মানিত উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের কাছে, যেন সিরাজগঞ্জের বিশেষত বেলকুচি এবং চৌহালী উপজেলার নদীভাঙন ঠেকানো যায় এবং সেখানকার পরিবেশগত সমস্যা ঠিক হয়। তার আগে স্বাস্থ্য সচিবকে স্মারকলিপি দিয়েছি যেন চৌহালীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হয় এবং সিরাজগঞ্জের স্বাস্থ্যসেবার মান সার্বিকভাবে উন্নত হয়।
উল্লেখ্য, আজকেই গিয়েছিলাম স্বাস্থ্য ডিজির কাছে শহীদ রাব্বির শহীদ হওয়ার তারিখ সংশোধনের আবেদন করতে। এরপর ওখান থেকে যাই রেলওয়ে ডিজির কাছে, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ভালো বগি সংযুক্ত করার কথা বলতে। শীঘ্রই এটা উপদেষ্টার কাছে লিখিত আকারে দেবো ইনশাআল্লাহ। দীর্ঘদিন হলো জনাব ফাওজুল কবীর স্যারকে রিচ করার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়ে আজকে এই ইস্যু নিয়ে রেল ভবনে যাই। বাইক রেখে ভবনে প্রবেশ করার সময় আয়েশাদের দেখতে পাই। ওকেই জিজ্ঞেস করি, ডিজির রুম কই।
আমার মনে হয়, সিরাজগঞ্জ জেলার যেকোনো ইস্যু কিংবা শহীদ-আহতদের যেকোনো ইস্যু নিয়ে বোল্ডলি মুভ করার মতো হিম্মত আমি রাখি। ওখানে যাওয়াটা তো আর অপরাধ নয়, অপরাধ হলো সরকারি অফিসে গিয়ে তদবির করা। রাজনীতি করতে এসে যে এরকম চরিত্রহনন করার চেষ্টা করা হবে তা বুঝিনি।
রিফাত