
ছবিঃ সংগৃহীত
বেশিরভাগ মানুষ জানেন, উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) হৃদরোগের প্রধান কারণ। কিন্তু কম রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসারও যে মারাত্মক হতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে—সেই বিষয়টি অনেকেরই অজানা।
রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবে ১২০/৮০ mmHg এর আশপাশে থাকে। যখন রক্তচাপ ৯০/৬০ mmHg-এর নিচে নেমে যায়, তখন তাকে “হাইপোটেনশন” বা লো ব্লাড প্রেশার বলা হয়। এই অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছায় না, যার ফলে দেখা দেয় মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ক্লান্তি, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি উপসর্গ।
লো প্রেশারের কারণে যদি হৃদযন্ত্রে পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন না পৌঁছে, তাহলে হার্টের টিস্যু ড্যামেজ হতে পারে। দীর্ঘ সময় এই অবস্থা চললে হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয় এবং হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। বিশেষ করে যাদের হৃদরোগের পূর্ব ইতিহাস আছে বা বয়স বেশি, তাদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।
এই রোগের পেছনে কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হলো, পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন), রক্তক্ষরণ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (বিশেষ করে হাই প্রেশারের ওষুধ), হরমোনাল সমস্যা (যেমন: অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের রোগ) ও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা হঠাৎ করে উঠে দাঁড়ানো।
অতিরিক্ত দুর্বলতা বা মাথা ঘোরার ক্ষেত্রে বসে পড়ুন বা শুয়ে যান। পর্যাপ্ত পানি পান করুন, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা থেকে বিরত থাকুন নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করবেন না
বিশেষজ্ঞরা বলেন, লো প্রেসারকে হালকাভাবে নিলে চলবে না। যারা নিয়মিত মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বুক ধড়ফড় অথবা ঘন ঘন জ্ঞান হারানোর মতো উপসর্গে ভুগছেন, তাদের অবশ্যই একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/reel/8780598148711852
আরশি