
ছবিঃ হুম্মাম কাদের চৌধুরী
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে দলের অভ্যন্তরে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে নেতারা শঙ্কায় আছেন—কখন কার কোন কাণ্ডের কারণে নমিনেশন বাতিল হয়ে যায় বা কাকে দলীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়। তিনি বলেন, “পানিশমেন্ট হবে, হচ্ছে এবং হতে থাকবে। খালি দেখতে হবে কাকে কাকে পানিশ করা হবে।”
শনিবার এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আমরা এখন এক্সট্রা ফাস্ট স্পিডে চলছি। সংবিধান সংস্কারের প্রসঙ্গ আসলেই গত ১০ মাসের যাবতীয় কার্যক্রম ইনভ্যালিড হয়ে যাবে। সে কারণে আমাদের উচিত নির্বাচন ম্যানিফেস্টোতে সংস্কারের প্রস্তাব রাখা, যাতে জনগণ ভোটের মাধ্যমে মত দিতে পারে।”
তিনি বলেন, বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। দল চাইলে সংসদ বর্জন করতে পারত, কিন্তু তারা তা না করে বরং সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে। “আমরা ওপেনলি বলে দিচ্ছি, যেই বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তা আমাদের সবাই মিলে করতে হবে,” বলেন তিনি।
ভোটের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “এখন আমাদের বেসিকসে ফিরে যাওয়া উচিত। অর্থাৎ ভোটের ওপর নির্ভর করা উচিত, জনগণের ওপর আস্থা রাখা উচিত।”
দলের অভ্যন্তরে চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সরাসরি স্বীকার করে বলেন, “হ্যাঁ, দলের ভিতরে এইসব ঘটনা ঘটছে। তবে আমাদের দোষারোপ বেশি করা হচ্ছে, কারণ আমাদের দল বড়। কিন্তু আপনাদের বলতে পারি, আমরা একশনও নিচ্ছি। অনেক বড় নেতাদের শোকজ করা হয়েছে, যদিও এখনো কাউকে বহিষ্কার করা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “পানিশমেন্ট হবে, অবশ্যই হবে। দলের যত বড়ই নেতা হোক না কেনো, স্পেশাল ট্রিটমেন্ট কাউকে দেওয়া হবে না।”
নোভা