
গর্ভাবস্থায় শারীরিক-মানসিক নানা পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় শারীরিক-মানসিক নানা পরিবর্তনের মাঝে যে জিনিসটা মেয়েদের দীর্ঘমেয়াদী পীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা হচ্ছে তলপেটে, উরুতে এবং স্তনে ফাটা দাগ। শতকরা ৫০ থেকে ৯০ নারী এ সমস্যার মুখোমুখি হন। যদিও কি কারণে এটা হয় সেটি পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হয়, শারীরিক স্ফিতির কারণে ত্বকের ঈড়ষষধমবহ ঋরনৎব ও ঊষধংঃরহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম ৬ মাসের মধ্যে এ দাগের সৃষ্টি হয়। এ সবের মূলে রয়েছে গর্ভাবস্থায় শরীরের হরমোনের নানারকম পরিবর্তন।
এছাড়াও হরমোনজনিত সমস্যা যেমন: ঈটঝঐওঘএ’ং ঝণঘউজঙগঊ, মাত্রাতিরিক্ত ঝঞঊজঙওউ জাতীয় ঔষধ খাওয়া এবং দীর্ঘদিন ত্বকে ঝঞঊজঙওউ মলম লাগানো। আবার জন্মগতভাবে যাদের ত্বকের ঊষধংঃরপরঃু কম থাকে তারাও এ সমস্যার মুখোমুখি হোন। জিনগত কারণ, কম বয়সী মা, গর্ভে অতিরিক্ত ওজনের শিশু ও শারীরিকভাবে মায়ের ওজন বেশি হলেও এটি হতে পারে। সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি ত্বকে দীর্ঘমেয়াদী চুলকানি, ফুস্কুড়ি ওঠা, ঝঊঈঙঘউঅজণ ইঅঈঞঊজওঅখ ওঘঋঊঈঞওঙঘঝ হতে পারে।
প্রতিকারের উপায়
গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন, ভিটামিন অ, উ, তওঘঈ, ওজঙঘ, ভিটামিন ই ঈঙগচখঊঢ নিয়মিত নেয়া (শাকসবজি, মৌসুমি ফল, বাদাম, রোদে দাঁড়ানো, ইত্যাদি)। অলিভ অয়েল, আরগান অয়েল, রোজহিপ অয়েল ইত্যাদি গর্ভাবস্থার প্রথম থেকেই নিয়মিত মালিশ করা যেতে পারে। মেডিক্যাল চিকিৎসা ট্রিটিনইন, কোলাজেন জাতীয় মলম কিছুটা কাজ করে। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে মাইক্রোনিডলিং, কেমিক্যাল পিলিং, মাইক্রোডারমা এব্রেশন, পিআরপি, ফিলার, লেসার থেরাপিতে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও কসমেটিক সার্জারিতেও (ঞটগগণ ঞটঈক) ভাল ফল পাওয়া যায়।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, (ত্বক, চর্ম, যৌন ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন)
ডাঃ জাহেদ’স হেয়ার এন্ড স্কিনিক, সাবামুন টাওয়ার, (৬ তলা), পান্থপথ মোড়, ঢাকা
০১৭৭৫-৫৫১৫২৩, ০১৭০৭-০১১২০০