সংগৃহীত
ঈদুল আজহার কোরবানির মূল ধর্মীয় রীতির পাশাপাশি শহরের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পশু জবেহের পর রাস্তাঘাটে রক্ত, বর্জ্য ও দুর্গন্ধের কারণে জনদুর্ভোগ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নগর কর্তৃপক্ষ কোরবানির পর সুনির্দিষ্ট পরিচ্ছন্নতা নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
রক্ত ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব
কোরবানির পশু জবেহের পর প্রথম করণীয় হচ্ছে রক্ত ও নাড়িভুঁড়িসহ অন্যান্য বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করা। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বিতরণ করা নির্ধারিত ব্যাগে এসব বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে। খোলা জায়গা, ড্রেন বা ফুটপাতে এসব ফেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জানায়, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে এবার প্রত্যেক ওয়ার্ডে আলাদা পরিচ্ছন্নতা টিম কাজ করবে।”
জীবাণুনাশক ব্যবহার ও দুর্গন্ধ রোধ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, জবেহের পর স্থানটি ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ১:১০ অনুপাতে পানির সঙ্গে মিশানো ব্লিচ বা জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে। দুর্গন্ধ রোধে শুকনো চুন ছিটানো এবং প্রয়োজনে বালির ব্যবহারও কার্যকর।
ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার
জবেহের কাজে ব্যবহৃত ছুরি, দড়ি, বালতি ও অন্যান্য সামগ্রী সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে জবেহের পর ভালোভাবে হাত ধোয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় উদ্যোগ ও নাগরিক সচেতনতা
বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক সংগঠন ও মসজিদের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, “এটি শুধু সরকারি দায়িত্ব নয়, নাগরিকদের সম্মিলিত দায়িত্ব।”
সরকারি সহায়তা ও হটলাইন
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্জ্য অপসারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করবেন। প্রয়োজনে নাগরিকরা ৩৩৩ হটলাইনে ফোন করে বা সিটি কর্পোরেশনের মোবাইল অ্যাপে রিপোর্ট করতে পারবেন।
সতর্কতা নির্দেশনা (সংক্ষেপে):
- খোলা রাস্তায় জবেহ নয়
- রক্ত ও বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করুন
- জীবাণুনাশক ও চুন ব্যবহার করুন
- ড্রেন-নালায় কিছু ফেলবেন না
- পরিচ্ছন্নতায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমন্বয় করুন
ঈদের আনন্দ হোক পরিচ্ছন্নতার মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবান নগর গড়তে সবার সহযোগিতা দরকার।
হ্যাপী
