
আজমেরী হক বাঁধন
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে টালিউড ও বলিউডেও অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। কান চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’খ্যাত এই নায়িকা। জুলাই আন্দোলনে সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি রাজপথেও সরব ছিলেন এ অভিনেত্রী। এ সময় অনেক আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। তবে সব ছাপিয়ে অভিনেত্রী এখন কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছেন বলে জানান। ঈদে তার অভিনীত ‘এশা দ্য মার্ডার’ সিনেমাটি মুক্তির তালিকায় আছে। সিনেমাটি নিয়ে শুরু থেকে বাঁধন খুব আশাবাদী। এ সিনেমার বাইরে রেজওয়ান সুমিতের ‘মাস্টার’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন এ গ্ল্যামারকন্যা। চলতি বছরেই এ সিনেমাটিও দর্শক দেখার সুযোগ পাবে জানান তিনি। এছাড়া নতুন একটি সিনেমা ও সিরিজের কাজের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে তার। খুব শীঘ্র এগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন নায়িকা।’
কাজের ক্ষেত্রে বাঁধন কোন বিষয়টাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন? তিনি বলেন, ‘এ সময়ে আমি গল্পের পাশাপাশি তরুণ নির্মাতাদের কাজকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। নতুনদের অনেকেই এখন নতুন নতুন চিন্তা নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের এবারের ‘বরবাদ’ ও ‘জংলী’ সিনেমার দিকে তাকালেও সেটি দেখতে পাই।’ শোবিজে নারী শিল্পীরা শ্রমের দিক থেকে কতটা মূল্যায়ন পাচ্ছে? এমন প্রশ্নে তিনি জানান, শুধু শোবিজ না, আমাদের সমাজের সব সেক্টরেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে আছে। আবার অনেক মাধ্যমে বেশ এগিয়েও গেছে বলতে হয়। এখনো আমাদের শোবিজে নারীদের প্রাধান্য দিয়ে কাজ হচ্ছে কম বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বাঁধন বলেন, নারী প্রধান গল্পের কাজ তেমন নেই। নির্মাতারা নারী চরিত্র নিয়েও তেমন ভাবেন না। শ্রমের সম্মানীর দিকেও পুরুষ তারকাদের চেয়ে নারী তারকারা পিছিয়ে আছে। আমি চাইব প্রযোজক ও নির্মাতারা এ বিষয়টি নিয়ে নতুনভাবে ভাববেন।’
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের আগে-পরে বাঁধনকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এখন কেমন সময় পার করছেন তিনি? তার ভাষ্য, ‘অনেকে আমাকে নিয়ে নানা রকম সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আমি কারও সমালোচনা করিনি। আমার সঙ্গে এটা যায় না। আর এখন, আমাদের সময় ভালো যাচ্ছে। এবারের বৈশাখ উদযাপন দেখলেই বোঝা যায় আমরা সুন্দর ও ভালোর দিকে যাচ্ছি। কেউ কেউ সমালোচনা করবে, তাদের মুখ তো বন্ধ করা যাবে না। তবে এটি সত্যি আমরা সুন্দর একটি দেশ পেতে যাচ্ছি।’ শোবিজে শিল্পীদের মধ্যে দুটি ভাগ হয়ে আছে। কারও নামের সঙ্গে ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক’ ট্যাগ লেগে আছে। কেউ আবার ছাত্র-জনতার পক্ষের দাবি করছেন। এ দু’ভাগ হয়ে যাওয়াকে কোনো ভাবে সমর্থন করেন না বাঁধন। তিনি মনে করেন, যে কোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। তাই বলে তার বিপক্ষে চলে যেতে হবে এটি ঠিক না। তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের সময় অনেকে নানা কারণে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন, এটি সত্যি। এখন সেগুলো নিয়ে পরিবেশ খারাপ করার মানে হয় না। দিন শেষে আমরা সবাই শিল্পী। শিল্পীদের মধ্যে একাত্মতা থাকা প্রয়োজন।’ মাঝে বেশ কিছুদিন এ আিভনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়নি। অনেকটা আড়ালে ছিলেন। সে সময় গুঞ্জন ওঠে তিনি হারিয়ে গেছেন। তবে এটির সঙ্গে এমদম একমত নন নায়িকা নিজে। তিনি বলেন, ‘আমার আসলে কিছুদিনের একটা বিরতির প্রয়োজন ছিল। নিজেকে সময় দেওয়ার জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থেকেছি। এছাড়া আমার মনে হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা যে সময় ব্যয় করি, সেটি অনেক বেশি হয়ে যায়। এর বাইরে অন্য কারণ নেই।’
প্যানেল